পদ্মা সেতুতে প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এসময় গাড়ি চলাচল করেছে ১৫ হাজার ২০০টি।
Advertisement
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৮ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্তে ৮ হাজার ৪৩৮টি গাড়ি থেকে আয় ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৬ হাজার ৭৬২টি গাড়ি থেকে আয় ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা।
প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, সকাল থেকে যেসব গাড়ি চলাচল করেছে তার ৬০ শতাংশই মোটরসাইকেল। সে তুলনায় বড় যানবাহন কিছুটা কম।
Advertisement
সেতুর টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সকাল থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। ৬টার আগেই আমরা যানচলাচলের জন্য কাজ শুরু করি।
রোববার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকায় আসতে দীর্ঘদিন যে অসহনীয় দুর্ভোগ ও কষ্ট ছিল আজ থেকেই তা দূর হয়েছে।
শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত দিয়ে উত্তাল পদ্মা নদী পার হতে যেখানে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতো এখন সেই নদী পার হতে সময় লাগছে মাত্র কয়েক মিনিট। এতে অনেকেই বাইক ও প্রাইভেটকার নিয়ে পার হচ্ছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানচলাচল করছে সেতু দিয়ে।
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতুর।
Advertisement
প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে টোল দেন। এরপর তার গাড়িবহর সেতু উদ্বোধনের জন্য ফলকের স্থানে যায়। প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিরা গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে প্রথমে মোনাজাত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এরপর দুপুর ১২টার একটু আগে সুইচ টিপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর মাধ্যমেই খুলে যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সড়ক পথের দ্বার।
আরএসএম/ইএ/এএসএম