আজকের দিনকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে আসলাম, আলহামদুলিল্লাহ।
Advertisement
শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১টার পর তিনি জনসভায় সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন। এতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও জনসভায় উপস্থিত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে এই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘কখনোই সেতু করতে পারবে না’। আমরা কিন্তু করতে পেরেছি, আপনারা পাশে ছিলেন বলে। জনগণের শক্তি বড় শক্তি। আমি সেটাই বিশ্বাস করেছি।
তিনি বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোন হারিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারাও আমার পাশে ছিলেন।
Advertisement
এর আগে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজা সংলগ্ন উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মোনাজাতে অংশ নেন।
তারও আগে বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ০৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওয়ানা হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজহাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেন সাড়ে ৩ হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকরা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
Advertisement
এসইউজে/কেএসআর/এমএস