জাতীয়

কাঁঠালবাড়ির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ঘাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন লাখো মানুষ৷ অপেক্ষার প্রহর শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সরাসরি জনসভায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর পৌনে ১টার দিকে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর সোয়া একটার দিকে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী এলে তাকে স্লোগান দিয়ে অভিনন্দন জানায় সভায় উপস্থিত লাখো জনতা। স্লোগানে মুখরিত হয় চারদিক। প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদনের জবাব দেন।

এর আগে জাজিরায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজা সংলগ্ন উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি মোনাজাতে অংশ নেন।

উদ্বোধন শেষে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় যোগ দিতে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওয়ানা হয়। এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নিজ হাতে নির্ধারিত টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।

সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেন সাড়ে ৩ হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকরা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

Advertisement

রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।

এমআইএস/এমএইচআর/এএসএম