জাতীয়

‘নাতি-নাতনিদের কাছে গল্প করবো কীভাবে পদ্মা নদী পাড়ি দিতাম’

‘ভাবতেই ভালো লাগছে এখন অনেক কম সময়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়া যাবে। বেঁচে থাকলে হয়তো নাতি-নাতনিদের কাছে গল্প করবো, এক সময় কীভাবে পদ্মা নদী পাড়ি দিতাম। এমন একটি স্থাপনা উদ্বোধনের সাক্ষী হতে পারাটা নিঃসন্দেহে জীবদ্দশায় দেখা ভালো ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম।’

Advertisement

শনিবার (২৫ জুন) বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ ফেসবুকে শেয়ার করা একটি স্ট্যাটাসে এসব কথা লেখেন।

তিনি লেখেন, আব্বা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকায় আমার তৃতীয় শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত সময় কেটেছে খুলনায়। কিন্তু নানার বাড়ি নরসিংদী হওয়ায় বছরে অন্তত দুবার পদ্মা পাড়ি দেওয়া হতো। ফেরিতে নদী পাড়ি দিয়ে তারপর ঢাকায় আসতাম, তারপর যেতাম নরসিংদী। খুলনা থেকে রওনা দেওয়ার পর মূল চিন্তা থাকতো ফেরিতে উঠতে যাতে বেশিক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে না থাকা লাগে; ঘাটে গিয়ে যেন ফেরি পেয়ে যাই। তবে সবদিন ভাগ্য ভালো থাকতো না। অধিকাংশ দিন ফেরিঘাটে এক-দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হতো।

নাজনীন আহমেদ আরও লেখেন, আর কয়েক ঘণ্টা পরেই চালু হয়ে যাবে পদ্মা সেতু। ভাবা যায়! ফেরির জন্য এখন আর মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।

Advertisement

এসএম/এসএএইচ/এএসএম