জাতীয়

কিডনি প্রতিস্থাপন না করে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন সেতুর ডিপিডি

এক বছর আগে কিডনি প্রতিস্থাপন করার কথা থাকলেও পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন এ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি-কারিগরি) মো. কামরুজ্জামান।

Advertisement

শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনানাদের সঙ্গে কয়েকজনকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। এই প্রকল্পের পাঁচ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করেছেন। সবার প্রতি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। যেভাবে তারা একটা পরিবারের মতো কাজ করেছেন, সেটা সত্যিকারভাবে তাদের কাছে মাথানত করার যোগ্য।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সবাইকে আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো না, কয়েকজনকে পরিচয় করিয়ে দেবো। আমাদের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, তাকে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন করতে অনুরোধ জানাবো। ২০১১ সালের নভেম্বরে আমি আর উনি একসঙ্গেই যোগ দিয়েছি। যে ধীরস্থির ও বিজ্ঞ পরামর্শ ও পদক্ষেপ উনি নিয়েছেন এর একটি বড় ফল হলো পদ্মা সেতু।’

Advertisement

‘দ্বিতীয়ত রয়েছেন কামরুজ্জামান আমাদের উপ-প্রকল্প পরিচালক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার আরও এক বছর আগে কিডনি প্রতিস্থাপন করার কথা। কিন্তু পদ্মা উদ্বোধনের জন্য তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক বছর ধরে কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন না এবং পদ্মা উদ্বোধন হওয়ার পর তিনি করবেন।’

খন্দকার আনোরুল বলেন, ‘আমরা গর্ব অনুভব করি, কামরুজ্জামানের মতো এমন সৎ ও ডেডিকেটেড একজন মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আব্দুল কাদের (দেওয়ার মো. আব্দুল কাদের) ও রজব আলী (সৈয়দ রজব আলী)- দুজন নির্বাহী প্রকৌশলী সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘পরামর্শক দলের প্রকল্প ম্যানেজার (রবার্ট জন আভেস) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তিনি যেমন দৃঢ়, তেমন শক্ত। যখন পদ্মা সেতু জটিলতায় পড়ে গেলো, ছয়টি পাইল দিয়ে সমাধান হচ্ছিল না, ভার বহন করতে পারছিল না। আমরা অনেক পরামর্শ করেছি। তখন রবার্ট প্রপোজাল দিয়ে সেটাকে বাস্তবায়ন করে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছেন।

আরএমএম/বিএ/এএসএম

Advertisement