জাতীয়

চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন অনেকে: প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনা পর্যায়ে ষড়যন্ত্রের শিকার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সুধী সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতে তিনি এ সহমর্মিতা জানান।

Advertisement

তিনি বলেন, ইতিহাসের এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলার মানুষের গর্বের ‘পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করবো। এই আনন্দঘন মুহূর্তে উপস্থিত সুধীবৃন্দ, দেশবাসী, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি সব নাগরিককে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার ছোটবোন শেখ রেহানা এবং আমাদের ছেলে মেয়ে ও নাতি-নাতনীদের প্রতি রইলো ভালোবাসা ও দোয়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সেই অপবাদ সহ্য করেছেন আমার পরিবারের সদস্য ছোটবোন শেখ রেহানা, তার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সহ কয়েকজন সহকর্মীরা। তারা চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।

শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরামর্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা দেশবাসীর প্রতি যারা শক্তি যুগিয়েছিল, সাহস যুগিয়েছিল। ধন্যবাদ জানাই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের অধিবাসীদের যাদের জমিজমা ও বাড়িঘর ছেড়ে দিয়েছে এই সেতুর জন্য। তাদের এই ত্যাগ ও সহযোগিতা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

Advertisement

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।

এসইউজে/এমএইচআর/এমএস