জাতীয়

পদ্মা সেতু হয়ে কোন রুটে বাসভাড়া কত

দুয়ার খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার পর রোববার (২৬ জুন) ভোর থেকে এই সেতু দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। টোল নির্ধারিত হয়েছে আগেই। পরে যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

Advertisement

ঢাকার সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের ১২ রুটের বাসভাড়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম-খুলনা, কক্সবাজার-বরিশাল ও চট্টগ্রাম-বরগুনা রুটের নতুন ভাড়াও ঠিক করে দিয়েছে বিআরটিএ।

জানা যায়, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল কার্যকরের প্রজ্ঞাপন এখনো হয়নি। সেজন্য বিআরটিএ ওই টোল বাদ দিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করেছে। বাসে ৪০ আসন ধরে ভাড়ার তালিকা করা হয়েছে। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের জন্য এই ভাড়ার তালিকা কার্যকর হবে না।

ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার। বিআরটিএর তালিকা অনুসারে, সায়েদাবাদ থেকে বরিশালে যেতে ৪০ আসনের বাসে যাত্রীপ্রতি ভাড়া হবে ৪২১ টাকা। সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া হয়ে গোপালগঞ্জের দূরত্ব ১৪৫ কিলোমিটার। এ রুটে ভাড়া ধরা হয়েছে ৩৯২ টাকা।

Advertisement

সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া হয়ে খুলনার দূরত্ব ২০৭ কিলোমিটার। এ রুটে ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৩৭ টাকা। সায়েদাবাদ থেকে ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য শরীয়তপুর রুটে ভাড়া দিতে হবে ২২৬ টাকা।

এছাড়া ঢাকা-পিরোজপুর ৫৩২ টাকা, ঢাকা-পটুয়াখালী ৫১৯ টাকা, ঢাকা-মাদারীপুর ৩১৩ টাকা, ঢাকা-সাতক্ষীরা ৬৫৪ টাকা, ঢাকা-ফরিদপুর ২৯২, ঢাকা থেকে বাবুবাজার সেতু হয়ে শরীয়তপুর ২২৬ এবং ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে ৭০১ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম থেকেও এখন ঢাকা হয়ে বাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলে। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, পোস্তগোলা, পদ্মা সেতু, মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ৫৫৪ কিলোমিটার। ভাড়া ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৪৯ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে ফেনী, কুমিল্লা, পোস্তগোলা, পদ্মা সেতু, মাদারীপুর হয়ে খুলনার দূরত্ব ৪৬৯ কিলোমিটার, ভাড়া এক হাজার ১৪৯ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে ফেনী, কুমিল্লা, পোস্তগোলা, পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী হয়ে বরগুনার দূরত্ব ৪৯৫ কিলোমিটার, ভাড়া ধরা হয়েছে এক হাজার ২২৩ টাকা।

আগে ঢাকাসহ দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল মাওয়া ঘাটের ফেরি। ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে এই ফেরিঘাটে সেজন্য থাকতো যানবাহনের লম্বা লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভুগতে হতো নারী, শিশু, রোগীসহ যাত্রীদের। কিন্তু পদ্মা সেতুর কল্যাণে এখন সেই ভোগান্তি আর থাকবে না বলে আশা করছেন এই রুটে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।

Advertisement

এসএম/এএসএ/এএসএম