আরেকটি বিশ্বকাপের আসর শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। হোক না সেটা অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। ধারে কিংবা ভারে কোন অংশেই কম নয়। কারণ, আজকের যুবক কিংবা তরুণ- আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এখান থেকেই উঠে আসবে জাতীয় সাফল্যের ধারক-বাহক। এ কারণে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপটাকে সবাই’ই সম্যক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবারের আয়োজক বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই নয় শুধু, আয়োজক হিসেবে এই বিশ্বকাপটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বিশাল এক চ্যালেঞ্জই বটে। ১৬ জাতির এই আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা তো অনেক বড় বিষয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে যুব বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। চারটি শহরে সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন এমনিতেই চ্যালেঞ্জের। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে চ্যালেঞ্জটা অন্য মাত্রায়। যুব বিশ্বকাপ যখন একেবারে দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছিল, তখনই বাংলাদেশের এই আয়োজনকে বড় একটা ধাক্কা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পুরো আয়োজনকেই তারা নিরাপত্তা ইস্যুর প্রশ্নে ফেলে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া তাদের সিনিয়র দলকে গত অক্টোবরে পাঠায়নি নিরাপত্তা শঙ্কার অজুহাত তুলে। এবার যুব দল পাঠালো না একই অজুহাতে। এমন পরিস্থিতিতে, সফল এবং সুষ্ঠুভাবে যুব বিশ্বকাপ আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়াকে দেখিয়ে দেয়াই যেন বিসিবির মূল লক্ষ্য। সে কথাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ ব্যাক্সিমকোতে নিজ কার্যালয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘নিরাপত্তাঝুঁকির ধুয়ো তুলে আগেও অস্ট্রেলিয়া সিনিয়র দল পাঠায়নি। এবারও একই অজুহাতে খেলতে আসেনি যুব বিশ্বকাপে। অথচ এটা আইসিসির একা ইভেন্ট। আমাদেরকে তারা দায়িত্ব দিয়েছে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে। এখন আমাদের দায়িত্বই হলো এই টুর্নামেন্টটি সুষ্ঠুভাবে করা এবং টুর্নামেন্টকে সফল করে তোলাও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের।’সাংবাদিকদের সঙ্গে একই সময় নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়েও। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করাটাকে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। বলেছেন, এটা সন্তোষজনক নয়। তবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশে দল ঘাটতিগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে।’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement