জাতীয়

ডিসিদের অধীনে অভিযোগ তদন্তের আদেশ বাতিল চায় পুলিশ

পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অধীনে তদন্ত না করতে এবং এ সংক্রান্ত আদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটির সদস্যরা।মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তারা এ দাবি করেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) উপস্থিত ছিলেন।পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অপরাধ তদন্তে এবং অপরাধ ঠেকাতে প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আহ্বায়ক করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয় স্ব স্ব জেলার পুলিশ সুপারকে।২০১৫ সালের ১৯ মার্চ পুলিশ সদর দফতর থেকে সব জেলায় এ সংক্রান্ত বিশেষ চিঠিও দেয়া হয়। এই নির্দেশের পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিল পুলিশ সদস্যরা।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অধীনে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত না করতে এবং এ সংক্রান্ত আদেশ বাতিলের দাবি উত্থাপন করেন।তার এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে পুলিশ সদস্যরা বলেন, যে আদেশ মানা হয় না তা বাতিল করাই ভাল।বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে আরো যেসব দাবি উঠে সেগুলোর মধ্যে ছিল- পুলিশের বাজেট প্রনয়নে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজি) ক্ষমতায়ন।বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই পুলিশের বাজেট প্রনয়ন করে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, আইজিপি’র কাছে বাজেট প্রনয়ণের ক্ষমতা থাকলে দ্রুত পুলিশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে।পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বাড়ানো উচিত মন্তব্য করে বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, র‌্যাবসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা ঝুঁকিভাতা পেলেও পুলিশ পায় না। অথচ প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় পুলিশকে।ডিএমপি কমিশনারের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘এটা সবার ভুল ধারণা, র‌্যাব কোনো ঝুঁকি ভাতা পায় না।’নতুন বেতন স্কেলে পুলিশের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে বেতন বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তারা এই বৈষম্য দূর করার দাবি জানান।বৈঠকে পুলিশ সদস্যরা দাবি জানান, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে ১৫ বছর পর্যন্ত রেশন দিতে হবে। কারণ একজন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। কারণ তার সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়।বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান বলেন, পুলিশের অপরাধের কথা মিডিয়ায় যতটা ফলাও করে প্রচার করা হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে নেয়া শাস্তির কথা সেভাবে মিডিয়ায় আসে না। এর প্রতিকারের দাবি জানান তিনি।বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথক পুলিশ ডিভিশন এবং পুলিশের যানবাহন ও আবাসন সংকটের কথা তুলে ধরেন পুলিশ সদস্যরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশের সকল দাবি মেনে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে তা পূরণের আশ্বাস দেন।জেইউ/একে/আরআইপি

Advertisement