করোনার সময় দেশে প্রথম বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা চালুর উদ্যোক্তারা এবার সিলেটে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করছে। শুধু সিলেট জেলায় তারা বন্যাকবলিত দুই হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে।
Advertisement
বুধবার (২২ জুন) সুনামগঞ্জের ছাতক ও সাল্লায় ত্রাণ বিতরণ করেছে উদ্যোক্তারা। গত ১৯ জুন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে ‘বিনামূল্যে জয় বাংলা অক্সিজেন সার্ভিস’র উদ্যোক্তা টিম।
এ পর্যন্ত জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় বন্যার পানিতে ঘরবন্দি দুই হাজার পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে দলটির সদস্যরা। ত্রাণের ব্যাগে বন্যার্তদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০ ধরনের পণ্য ছিল।
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।
Advertisement
এই দলটি করোনাকালীন ২০২০ সালের ২৫ জুন দেশে প্রথম বিনামূল্যে অক্সিজেন সার্ভিস চালু করে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার মানুষকে তারা অক্সিজেন সেবা দিয়েছে। এখনো তাদের এ সেবা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চালু রয়েছে।
ত্রাণ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেওয়া ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, যতদিন প্রত্যেকটি মানুষ স্বাভাবিক জীবনে না ফিরবে, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা ঘরে ফিরবে না । এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
টিমের অন্যতম উদ্যোক্তা সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, দেশের প্রতিটি দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। করোনা থেকে শুরু করে সকল দুর্যোগে আমরা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি, আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছুটা হলেও বন্যার্ত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক সবুর খান কলিন্স বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দেশের জনগণের যেকোনো দুর্যোগে তাদের পাশে দাঁড়ানো নিজেদের নৈতিক কর্তব্য হিসেবে মনে করি। তাই মানবিক দায়িত্ব থেকে সিলেট অঞ্চলের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
Advertisement
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ঢাবি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় ৩০জনের একটি টিম রয়েছে।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এমপি