আল্লাহ তাআলার ঘোষণা, তিনি মুত্তাক্বিদের (পরহেযগার ও সংযমি ব্যক্তির) কোরবানিই কবুল করে থাকেন। কোরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। সংযম ও তাকওয়া না থাকলে সে কোরবানিতে প্রশান্তি থাকে না। এ জন্য কোরবানিদাতার এমন কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি; যা তার জন্য নিষিদ্ধ। সেই কাজগুলো কী?
Advertisement
যে ব্যক্তি কোরবানি করবেন, তিনি জিলহজ মাস আসার আগে নিজের চুল, গোঁফ, পশম এবং নখ কেটে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নেবেন। কোরবানিদাতার জন্য জিলহজ মাসে এ কাজগুলো করা নিষিদ্ধ। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন (আশারা জিলহজ) জিলহজের ১০ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার নিয়ত করে, তখন সে যেন সে নিজের চুল ও চামড়ার কোনো অংশ না কাটে।’ (মুসলিম)
এ হাদিসের আলোকে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনে চুল, চামড়া বা নখ কাটা নিষেধ। তবে কোনো কোরবানিদাতা যদি এসবের কিছু করে ফেলে তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে কিন্তু এর জন্য কোনো প্রকার ফিদয়া দেওয়া জরুরি হবে না।
Advertisement
উল্লেখ্য, চুল, গোঁফ, নখ কাটার প্রয়োজন হলে এ বছরের ৩০ জুন মোতাবেক ২৯ জিলকদ বৃহস্পতিবারের আগেই তা করে নিতে হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব কোরবানিদাতাকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement