ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগ নয়। এটি একটি বিশেষ শারীরিক অবস্থা। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেকে সামাজিকভাবে আত্মনির্ভরশীল ও প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম।
Advertisement
মঙ্গলবার সচেতনতামূলক একটি কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) কার্যালয়ে এই কর্মশালা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ডিএসএসবি), আমডা বাংলাদেশ ও এমজিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া আরও ছিলেন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিভাবকরা।
এসময় ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করেন ডিএসএসবি’র চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক।
Advertisement
বক্তারা বলেন, সুবিধাবঞ্চিত এসব ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণ অত্যন্ত জরুরি।
এমজিআই’র ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, সামাজিকভাবে আমাদের সবার ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য করণীয় রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা এখনও অবগত নই। ব্যক্তিগত জীবনে একজন মা হিসেবে আজকের এই আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিরাও যেন ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে যাবো।
এমজিআই’র পরিচালক ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে এমজিআই থেকে আমরা সব সময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য আমাদের কর্তব্য আছে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সোশ্যাল ও করপোরেট উভয় ক্ষেত্রেই একত্রীকরণের সুযোগ গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী আমরা।
ওয়ার্কশপ শেষে অংশগ্রহণকারীদের নতুন ল্যাপটপসহ, ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্টেশনারি, কলম, নোটবুক এবং অন্যান্য পণ্য উপহার দেওয়া হয়।
Advertisement
ওয়ার্কশপে আরও উপস্থিত ছিলেন, এমজিআই’র জ্যেষ্ঠ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তায়েফ বিন ইউসুফ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ জিএম (এইচআর) আতিক উজ জামান খান, জ্যেষ্ঠ জিএম (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ ডিজিএম (সেলস) ইয়াছিন মোল্লা, ডিজিএম (এডমিন) মো. ওমর ফারুক, সিএমও (সেলস) আশফাকুর রহমানসহ আরও অনেকে।
জেডএইচ/জেআইএম