রাজনীতি

প্রধান বিচারপতির কাছে সুরঞ্জিতের ক্ষমা চাওয়া উচিত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ধমকের সুরে কথা বলেছেন, যা ঠিক নয়। প্রধান বিচারপতিকে ধমক দিচ্ছেন মানে সমগ্র বিচারঙ্গনকে ধমক দিচ্ছেন। তাই সুরঞ্জিতের এই বক্তব্যের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত।মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তিনি এ কথা বলেন।সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান বিচাপতি সম্পর্কে কোনো কটূক্তি করা হলে আইনজীবী সমাজ তা মেনে নেবে না।এ সময় তিনি সরকারের মন্ত্রীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রধান বিচাপতি সম্পর্কে কোনো কটূক্তি করবেন না। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে আইনজীবীরা একমত।তিনি আরো বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক দেশ ধ্বংস করেছেন। দেশে যত মানুষ পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন, গুম হয়েছেন সকল কিছুর দায় তার (সাবেক প্রধান বিচারপতি) ওপর বর্তায়। আর এখন বিচার বিভাগ ধ্বংসে লিপ্ত রয়েছেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। যিনি একদিকে টিভি টকশোতে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখছেন আবার তিনি রায়ও লিখছেন। এটা অনৈতিক যা প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সুস্পষ্ট।সমাবেশে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রদ্রোহ কি তা বুঝতেন তাহলে তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দিতেন না। এসময় তিনি অবিলম্বে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।তিনি বলেন, বিচার বিভাগ যদি আইনমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ না করতেন তাহলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি হতো না। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হলেও বাস্তবে স্বাধীন নয়।কর্মসূচি শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি খালেদার মামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও দেশের সকল বারে (৬৪ জেলায়) বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট গোলাম মো. চৌধুরী আলাল, আবেদ রাজা মোহাম্মদ আলীসহ প্রায় শতাধিক বিএনপিপন্থী আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।এফএইচ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement