আইন-আদালত

পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

প্রতিবছর দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত হাজার মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ পিতল পাচার হচ্ছে ও পাচার রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৯ জুন) বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংস্থা ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এ লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।

লিগ্যাল নোটিশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী হুমায়ন কবির জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিশাল এলাকায় নিয়ে গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙার শিল্প। বিদেশ থেকে জাহাজ এনে ব্যবসায়ীরা সেটি ভেঙে লোহা, ইস্পাত, পিতল আলাদা করে বিক্রি করেন। এসব কাজে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। কিন্তু জাহাজ থেকে যে পিতল সংগ্রহ করা হয় দেশে বাজারে এর দাম তুলনামূলক কম। এজন্য এসব পিতল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশেও বিভিন্ন কাজে প্রচুর পিতল ব্যবহার করা হয়। সেই পিতল আবার বিদেশ থেকে কিনতে হয়। এছাড়া পিতল শোধন করার আগে পাচার হয়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হলেও বেশি দামে কিনতে হয়। তাই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে এসব রোধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি প্রতিকার চাইতে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী।

‘কতিপয় পিতল পাচারকারীর কারণে জাহাজ ভাঙা শিল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। বিশেষ করে এখান থেকে পাওয়া পিতল বিদেশে চলে যাওয়ার কারণে দেশে গড়ে ওঠা পিতল নির্ভর কয়েক হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে চলেছে। সেখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। অথচ জাহাজ ভাঙায় বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।’

ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিশাল এলাকায় নিয়ে গড়ে উঠেছে এ শিল্প। সেখানে মূলত জাহাজের প্রপেলার, পাইপ, অন্যান্য যন্ত্রাংশ থেকে তামা ও পিতল বের হয়। সেই তামা বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সাইজ করে কেটে রপ্তানি করে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর প্রায় দুই থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ পিতল ও তামা পাচার হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশে।

তিনি বলেন, পরিবেশের জন্য ঝুঁকি সত্ত্বেও দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জাহাজ ভাঙার অনুমতি দেয় সরকার। পরিবেশবাদীদের তীব্র চাপ উপেক্ষা করে যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য বিশ্বের আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে বদনাম নিতে হয়েছে, তার সুফল ভোগ করছে হাতেগোনা কয়েকজন পাচারকারী।

Advertisement

এফএইচ/আরএডি/জিকেএস