জাতীয়

৪ দিনে ৯৯৯-এ বানভাসিদের হাজার ফোন

আকস্মিক বন্যায় উদ্ধার, ত্রাণসামগ্রী এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত সেবা চেয়ে ১৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত চার দিনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেছেন অসহায় হয়ে পড়া প্রায় এক হাজার বানভাসি।

Advertisement

সোমবার (২০ জুন) ৯৯৯-এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ ছাড়াও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্তরা গত কয়েকদিন ধরেই জরুরি প্রয়োজনে ফোন করছেন। বেশিরভাগ পানিবন্দি মানুষ ৯৯৯-এ ফোনে বাসা থেকে উদ্ধারের জন্য, জরুরি চিকিৎসাসেবা ও ত্রাণ সামগ্রী সংক্রান্ত কারণে ফোন দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, গত ১৬ জুন থেকে আজ ২০ জুন পর্যন্ত চারদিনে প্রায় এক হাজার বানভাসি মানুষ ৯৯৯-এ ফোনে সহায়তা চেয়েছেন। আমরা ফোনকলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের জরুরি উদ্ধার টিম, সেনাবাহিনীর টোল ফ্রি নম্বর ও সংশ্লিষ্ট উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়াদের কাছে ফরোয়ার্ড করেছি।

Advertisement

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। সোমবার সকালে ৯টি নদ-নদীর পানি ১৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ভারতের মেঘালয় প্রদেশে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে এসেছে।

তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অন্যদিকে হবিগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।

টিটি/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement