আন্তর্জাতিক যোগ দিবস আজ (মঙ্গলবার)। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মানবতার জন্য যোগ’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যোগ দিবসে থাকছে নানা আয়োজন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ জুন) দেশে যোগচর্চাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে এ বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন ও প্লাটফর্ম।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্যই সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, ইয়োগা বা যোগচর্চা কীভাবে সত্যিই সার্বজনীন হয়ে উঠেছে।
কোভিড-১৯ এর সময় যোগচর্চা মানুষকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে প্রেরণা জুগিয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, মহামারিকালে বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের জীবনযাপনে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থেকেছে যোগচর্চা। বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব ও মানসিক চাপের মতো চ্যালেঞ্জ কাটানোর ক্ষেত্রে যোগচর্চা বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
Advertisement
২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। সে বছরই ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করে।
ইয়োগা বা যোগচর্চা শুধু রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণই করে না, অনেক রোগ নিরাময়েও ভূমিকা রাখে। প্রাণায়াম ও যোগাসনের বিভিন্ন মুদ্রা এবং ধ্যান বা মেডিটেশন- এই তিনের সমন্বয়েই ইয়োগা বা যোগ। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ইয়োগা চর্চায় অসংখ্য মানুষ তাদের হতাশা আর মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠছে।
উপমহাদেশে উদ্ভাবন হলেও পশ্চিমা দেশগুলোয় এখন সবচেয়ে বেশি যোগচর্চা হয়। তবে এ অঞ্চলেও গত কয়েক বছর ধরে এর চর্চা বাড়ছে।
সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইয়োগা এবং মেডিটেশন। দেশে এটি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের এক পরিপূরক চিকিৎসাসেবা এই যোগচর্চা।
Advertisement
এইচএ/এমপি