কর ফাঁকির বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেস’র পক্ষে করা রিট আবেদনের বিষয়ে শুনানি শেষ। এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২১ জুন) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানিম হোসেন শাওন ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস
রিট আবেদনটির বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন ড. কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রমজান আলী শিকদার ও অপর আইনজীবী ড. শরীফ। তাদের সহায়তা করেন আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
Advertisement
এর আগে, গত ১৪ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন। এর পরে ওই আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট এই বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। তারও আগে আয়কর নিয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি করেন ড. কামাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।
এর আগে, গত ৫ জুন শুনানির জন্য রিটটি কার্যতালিকায় আসলেও রিটকারীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ জুন দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।ওইদিন শুনানি না করে আজকের দিন ঠিক করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য উঠে।
রিট আবেদনে বলা হয়, কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। কিন্তু ওই অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার নামে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা আয়কর এবং আরও ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন খারিজ করে দেওয়া হয়।
Advertisement
এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। আপিল ট্রাইব্যুনাল তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
এফএইচ/জেএইচ/জিকেএস