সিপিডি’র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাজেটে কৃষি খাতকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং টিসিবিকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। সাধারণত নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক অভিঘাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের আয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ে না। আগামী অর্থবছর তাদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় তা বিবেচনা করতে হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, মেগা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে ভর্তুকি বাড়ানোর সুযোগ রাখতে হবে। এর পাশাপাশি রাজস্ব ব্যয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দ বেশি হতে হবে, যেটি এই অর্থবছর কমে গেছে।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম রোববার (১৯ জুন) ব্র্যাক সেন্টারে ‘জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩: পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী আছে’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, অতিমারির প্রভাব স্বাস্থ্যগতভাবে আমরা পার করলেও এর আর্থ-সামাজিক যে প্রভাব নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ওপর পড়েছে, তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। দ্বিতীয়ত, গত ১০-১৫ বছরে সামষ্টিক অর্থনীতি এরকম চাপে পড়েনি। তৃতীয়ত, বিশ্বে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব কিছু মোকাবিলা করার জন্য অনেক চিন্তা, দক্ষতা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে।
Advertisement
বাজেট পর্যবেক্ষণ করে তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য মূল্যস্ফীতিকে মূল সূচক হিসেবে ধরতে হবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দ্বৈত বিনিময় হার এবং সুদের হারে সমতা আনতে হবে।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এতে আরও বক্তব্য দেন প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, গার্লস রাইটসের পরিচালক কাশফিয়া ফিরোজ, অভিযানের নির্বাহী পরিচালক বনানী বিশ্বাস প্রমুখ।
এমওএস/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement