সিলেটকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবির পাশাপাশি সমগ্র সিলেটসহ আশপাশের জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
Advertisement
রোববার (১৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, সিলেট নগরী ও জেলার সবকটি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে। অধিকাংশ গ্রাম ও অসংখ্য ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে মানুষ ও জনপদ। দেখা দিয়েছে খাবার ও আবাসন সংকট। তাই অসহায় পানিবন্দি বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নেতারা অবিলম্বে সিলেটের পানিবন্দি উপজেলাগুলোকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নেওয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছে। বন্যাকবলিত এসব মানুষদের দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার করে দ্বিতল বিশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র চালু করতে হবে।
Advertisement
তারা বলেন, মানুষের স্বার্থে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে বলেই হঠাৎ এমন বারবার বন্যা। অপরিকল্পিত উন্নয়নও এই বন্যার অন্যতম কারণ। আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক বন ধ্বংশ করে বাণিজ্যিক বন কেন? হাওরে হাইওয়ের মতো রাস্তা থাকবে কেন? নতুন করে চিন্তা করতে হবে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত ভৈরব ব্রিজ সুরমা-কুশিয়ার নাব্যতার সংকট তৈরিতে বেশ ভূমিকা রেখেছে। কিশোরগঞ্জের হাওরে নির্মিত রাস্তা আর ভৈরব ব্রিজ থাকবে, কিন্তু পানি যেন আরও দ্রুত স্রোত নিয়ে যেতে পারে, সেই পরিকল্পনা করতে হবে।
তারা বলেন, দ্রুত সিলেট বিভাগকে বন্যাদুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, আশ্রয়দান ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে মনুষ্যসৃষ্ট এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবাইকে সম্মিলিতভাবে বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
কেএইচ/এমআরএম/জিকেএস
Advertisement