কারোনার ঝুঁকি কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর এবার হজে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম একসঙ্গে হজ পালন করতে পারবেন। আর এই যাত্রা দীর্ঘদিন হওয়ায় সাথে নিতে হয় বেশ কিছু নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
Advertisement
ভ্রমণের সময় কাপড় ও জুতা সংগ্রহের ক্ষেত্রে সৌদি আরব উষ্ণ প্রধান দেশ ও ধর্মীয় রীতির বিষয় প্রাধান্য পায়। আবহাওয়া অনুযায়ী কাপড়-চোপড় সম্পর্কে সবারই কম-বেশি ধারনা থাকলেও হজে জুতা ব্যবহারের বিধি নিষেধ ও আবহাওয়া উপযোগী জুতা বিষয় সম্পর্কে অনেকেই অবগত থাকেন না।
হজের উদ্দেশ্যে রওনা হলে দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানিকতা পালনে। প্রথমত বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বিমানবন্দরে যাওয়া এবং বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করার সময় অনেক বেশি সময় হাঁটাচলা করতে হয়।
দীর্ঘক্ষণ সময়ে ব্যবহার উপযোগী এমন জুতা ব্যবহার করতে হবে যা আরামে পরে থাকা যায়, দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে গন্ধ হয় না। বেশি সময় ব্যবহারের জন্য হালকা স্নিকার জাতীয় জুতা সবচেয়ে বেশি উপযোগী। স্নিকার্স অনেক বেশি হালকা, দীর্ঘক্ষণ পরা ও অনেক বেশি হাঁটাচলা করতে আরামদায়ক।
Advertisement
এক্ষেত্রে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ‘স্টেপ’র হালকা স্নিকার জাতীয় জুতা। যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন যে কোনো বয়সের হাজিরা। যখন সৌদি আরবে অবস্থান করবেন তারা তখন বিভিন্ন সময়ে অনেক বেশি হাঁটতে হবে। এ সময় সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ দিবে স্টেপের স্নিকার জাতীয় জুতা।
কাবা ঘরের দেড় কিলোমিটারের ভিতরে আপনি জুতা পরতে পারবেন না। খালি পায়ে অথবা মোজা পরে হাঁটাচলা করতে হবে। এসময় পিঠে একটি ব্যাগ রাখা যেতে পারে। যে ব্যাগে ব্যবহার্য জুতা রাখা যাবে।
ফিতা বাঁধতে হয় এরকম জুতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে ভালো হবে। এমন জুতা পরতে হবে যেন জুতার ভেতরে ধুলাবালি প্রবেশ করতে না পারে। যখন ভ্রমণে থাকবেন এ সময় যদি জুতার ভেতরে ধুলোবালি জমে যায় বা তাহলে অস্বস্তি বোধ করবেন। এমন জুতা পরা থেকে বিরত থাকুন হাটতে গেলে পা থেকে খুলে যায়।
সবকিছু মাথায় রেখে স্টেপের হালকা স্নিকার্স ও স্যান্ডেল সঙ্গে রাখতে পারেন। কারণ এগুলো বেশ আরামদায়ক, পরিবহনযোগ্য ও পানিতে ব্যবহার উপযোগী।
Advertisement
এলএ/এমএস