আইন-আদালত

বাদ দেওয়া ড. কামালের রিট শুনানি হাইকোর্টের আরেক বেঞ্চে

কর ফাঁকির বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের পক্ষে করা রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চে এসেছে।

Advertisement

রোববার (১৯ জুন) রিট আবেদনটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্যে আসে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন।

এর আগে, গত ১৪ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন।

আয়কর নিয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি করেন ড. কামাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।

Advertisement

আদালতে ওইদিন ড. কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এর আগে, গত ৫ জুন শুনানির জন্য রিটটি কার্যতালিকায় আসলেও রিটকারীর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ জুন দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে বলা হয়, কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। কিন্তু ওই অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার নামে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা আয়কর এবং আরও ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করে।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন খারিজ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। আপিল ট্রাইব্যুনাল তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

এফএইচ/এমপি/জেআইএম