মতামত

ডিজিটাল শিক্ষা শিশুর অধিকার

মুজিবুর রহমান স্বপন এখন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহ-সভাপতি। ছয় বছর যাবত এক নাগাড়ে সমিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমার সাথেও সমিতিতেই কাজ করেছে চার বছর।  এর বাইরেও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কম্পিউটার বাজার বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। আমি যে কেবল স্বপনকে স্নেহ করি সেটাই নয়, স্বপন আমার কাছে অনেক দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন একজন মানুষ। ছাত্রজীবনে রাজনীতি করতো বলে মানুষের সাথে কাজ করার ক্ষমতা অসাধারণ। কম্পিউটারের মেলা সাজাতে তার তুলনা বিরল। আমি যখন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ছিলাম তখন সবার আগে স্বপনকে কম্পিউটার মেলার দায়িত্ব দিতাম। অবশ্য কম্পিউটারের মেলা করার জন্য আমার হাতে মানুষই ছিলো তিনজন; স্বপন, শফিক ভাই ও সাইদ মুনীর। বিসিএস কম্পিউটার সিটিতেও  মেলার আয়োজন করার কাজটা স্বপন অহরহ করে। কদিন আগে জানিয়েছিলো যে, বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে মেলা করবে।  মেলার উদ্বোধন, অতিথি ও কর্মসূচিসমূহ নিয়ে কথা বলতে বলতে জানালো, এবারের মেলায় সে শিশুদেরকে গুরুত্ব দিতে চায়। তখন সে মেলার শ্লোগান প্রস্তাব করেছিলো, “কম্পিউটার দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা শিশুর অধিকার”। স্বপন জানে যে, মেলার শ্লোগান নিয়ে আমার আগ্রহ বহুদিনের। “শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত কম্পিউটার চাই” শ্লোগান থেকে “একুশের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ” শ্লোগানগুলো আমারই দেয়া।  আমি স্বপনের প্রস্তাব শুনে বললাম, তুমি কেবল “ডিজিটাল শিক্ষা শিশুর অধিকার” এই শ্লোগানটা দাও। ১৭ জানুয়ারি ১৬-এর পত্রিকায় ওদের সাংবাদিক সম্মেলনের খবর পড়ে আনন্দিত হলাম এটি দেখে যে, স্বপন আমার দেয়া সেই শ্লোগানটাকেই মেলার প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি সেই মেলার উদ্বোধন হয়েছে এবং সেই আলোকেই মেলাকে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় করার উদ্যোগও  নেয়া হয়েছে। আমি স্বপন ও বিসিএস কম্পিউটার সিটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সকলকে এজন্য অভিনন্দিত করি।অনেকেই অবাক হতে পারেন যে, কম্পিউটার বিক্রি করে এমন একটি বাজারের মেলার শ্লোগান শিশুদেরকে নিয়ে কেন? সচরাচর আমরা বুঝি যে, শিশুরা চকলেট কিনবে, খেলনা কিনবে বা শিশুদের জন্য ব্যবহার্য সামগ্রীর প্রতি তাদের আগ্রহ থাকবে।  বাজারজাতকরণের সূত্র অনুসারে এমন বিষয়কেই কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাখা উচিত যে, বিষয়টি ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে। অন্যদিকে তাদেরকেই ক্রেতা হিসেবে গণ্য করা উচিত যাদের কেনার জন্য আর্থিক ক্ষমতা আছে যা যারা কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কম্পিউটারতো এখনও শিশুদের প্রিয় বস্তু নয় বা তারা কম্পিউটার কেনার সিদ্ধান্তও নিতে পারে না। সেই অবস্থাতে শিশুদের কথা ভাবা কি সঠিক হলো?আমি মনে করি, শিশুদের বিষয়টি আমরা বহুদিন ধরে অবহেলা করে আসছি। এমনকি কম্পিউটারকে শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কথাই আমরা ভাবিনি। প্রথাগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্প-কল-কারখানা কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের ভাবনার কেন্দ্রে রয়েছে। কোনো কোনো সময় সরকারের কথাও ভাবা হয়। কিন্তু দেশের চার কোটি ছাত্র-ছাত্রীর কথা মোটেই ভাবা হয় না। আমি মনে করি শিশুতো বটেই সামগ্রিকভাবে শিক্ষা খাত আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কেন্দ্রতেই বিবেচিত হতে পারে। সম্ভবত এটি এই খাতের সবচেয়ে বড় হার্ডওয়্যার বাজার। শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্টও হতে পারে বিশাল একটি ক্ষেত্র। এর কারণটি হচ্ছে যে বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪ কোটি এবং শিশুদের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। ওরা এখন বই-খাতা-কলম দিয়ে পড়াশোনা করে। বড়দের কেউ কেউ ল্যাপটপ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করে। ওদের হাতে নিজেদের স্মার্ট ফোনও থাকে। কিন্তু শিশুরা না হতে পারে কম্পিউটারের মালিক না হতে পারে স্মার্ট ফোনের অধিকারী। ওদের হাতে বাবা-মার স্মার্ট ফোনটা হয়তো কখনও খেলনা হিসেবে পৌঁছে এবং তারা তাতে গেম খেলে আনন্দ পায়। এই শিশুদের হাতে যদি ডিজিটাল ডিভাইস হিসেবে কম্পিউটার দেয়া যায় তবে সেই সংখ্যাটি হবে দুই কোটি। বিষয়টি এখানেও থামবে না। প্রতি বছর নতুন শিশুর জন্ম হচ্ছে এবং কেবলমাত্র প্রাথমিক স্তরে প্রতি বছর অন্তত ২৫ লাখ নতুন শিশু যোগ দেয়। দুই কোটি বিদ্যমান শিশুর সাথে যদি প্রতি বছরের ২৫ লাখকে যোগ করা যায় তবে আমরা বুঝতে সক্ষম হবো যে মুজিবুর রহমান স্বপন অত্যন্ত দূরদর্শী একটি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন।তবে প্রশ্ন হচ্ছে যে, শিশুদের হাতে কম্পিউটার নামক ডিজিটাল যন্ত্র কিভাবে পৌঁছানো যাবে। এরই মাঝে আমরা সরকারকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তুলতে দেখছি। আমাদের সরকার ও নীতি নির্ধারকরা মনে করেন যে কম্পিউটার শেখা এবং কম্পিউটার দিয়ে শেখার জন্য ডিজিটাল ক্লাশরুম গড়ে তোলাটা কেবল তরুণ-তরুণীদের বা যুবাদের জন্যই হওয়া উচিত। যদিও কোনো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এরই মাঝে একটি করে ল্যাপটপ বা কোথাও একটি ল্যাপটপ-একটি প্রজেক্টর দেয়া হয়েছে তথাপি শিশুদের কথা, তাদের ক্লাশরুম বা শিক্ষকের কথা মোটেই ভাবা হযনি। আমার এই ভাবনাটি অনেক আগের। আমি ৮৭ সালে অ্যাপল কম্পিউটারকে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে দেখেছি। আমি মালয়েশিয়ার স্মার্ট স্কুল দেখেছি। আমি ডেনমার্কের স্কুলের জন্য সফটওয়্যার বানিয়েছি। আমি ৯৭ সালে আমেরিকা থেকে সফটওয়্যার এনে নিজের ছেলেকে পড়িয়েছি। সেই ভাবনা থেকেই ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর গাজীপুরের ছায়াবিথীতে আমি একটি স্কুল গড়ে তুলি। গাজীপুরের আজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক মজিবুর রহমানের পরিচালনায় স্কুলটির উদ্বোধন করেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ও তার স্ত্রী সেলিনা মল্লিক। সেখানেই আমরা বাংলাদেশের শিশুদের জন্য প্রথম কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করি এবং তাদের ক্লাশরুমে কম্পিউটার নিয়ে গিয়ে কম্পিউটার দিয়ে লেখাপড়া করানো শুরু করি। তবে যে সমস্যাটি তখন তীব্র হয় সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের পাঠ্য বিষয় নিয়ে বাংলায় তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়া যায়নি। আমার নিজের পরিচালনায় ৩২টি মাল্টিমিডিয়া সেন্টার থেকে এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার  উদ্যোগ নিয়েও গুণগত মান ভালো না হওয়ায় সুবিধা করতে পারছিলাম না। অবশেষে ২০০৯ থেকে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহি জেসমিন জুই ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির নেতৃত্ব গ্রহণ করার পর ২০১১ সালে প্রথম বিজয় শিশু শিক্ষা আত্মপ্রকাশ করে এবং এরপর থেকে অবিরাম কাজ করতে করতে আমরা ২০১৬ সাল নাগাদ প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সফটওয়্যার তৈরি করতে সক্ষম হই। জেসমিন ও তার বাহিনীকে এজন্য অভিনন্দন। ওরা আমার স্বপ্নটাকে পূর্ণতার দিকে নিয়ে এসেছে।বস্তুত ২০১১ সাল থেকেই এদেশের শিশুরা কম্পিউটার দিয়ে লেখাপড়া করার জগতে দারুণভাবে প্রবেশ করে। অনেকেই ব্যক্তিগত কম্পিউটারে আমাদের সফটওয়্যারগুলো ইন্সটল করে শিশুদেরকে তাদের শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করতে থাকেন। এরই মাঝে সরকারের এটুআই টিচার লেড কনটেন্ট নামক এক ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। সরকারের আইসিটি ডিভিশন বিনা টেন্ডারে ব্র্যাক নামক একটি এনজিওকে দিয়ে প্রাথমিকের সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও ব্র্যাককে দিয়ে একইভাবে বিণা টেণ্ডারে ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল কনটেন্ট বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খান এক সময়ে ষষ্ঠ শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ২৫ লাখ ট্যাব দেবেন বলেও ঘোষণা করেছিলেন। তবে এসব কাজের কোনোটাই আলোর মুখ দেখার আগে আমরা একটি সাহসী উদ্যোগ নিতে সক্ষম হই। নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার আরবান একাডেমির প্রথম শ্রেণির ৪০টি শিশুর হাতে আমরা ৮ ইঞ্চির একটি ডিজিটাল ডিভাইস দিতে সক্ষম হই। মাত্র নয় হাজার টাকায় অরিজিনাল উইন্ডোজসহ এই ডিভাইসটিতে দেয়া হয় বিজয়-এর সকল শিক্ষামূলক সফটওয়্যার। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ এই ক্লাশরুমটির উদ্বোধন করেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক তরুণ কান্তি শিকদার। সেদিনের ফিতা কাটার ক্ষণটিতে আমি, জেসমিন, পরমাসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনেরাও ছিলাম। এরপর আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গৌরীপুরের শিশু শ্রেণির সকলকে এই ডিজিটাল ডিভাইস প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর বাইরেও অন্তত ২৫টি স্কুলে এই ডিভাইস পরীক্ষামূলকভাবে প্রদান করা হয়। আমি প্রত্যাশা করছি সরকারের টেলিকম বিভাগ সহসাই দেশের ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সকল ছাত্র-ছাত্রীর হাতে এ ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস দেবার জন্য একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।প্রসঙ্গটি জাতীয় মিডিয়ারও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৮ জাুনয়ারি ১৬ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ছাপা হয় একটি খবর। এর শিরোনাম ছিলো, “পুরোপুরি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশু আনন্দের সঙ্গেই শিখতে পারে।” খবরটিতে অ্যাপল কম্পিউটার থেকে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গড়ে তোলা এবং নিজস্ব ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয্যার তৈরির বিবরণ দেবার পর নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলার আরবান স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতার বিবরণও প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়, “নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আরবান একাডেমির অধ্যক্ষ  সৈয়দ আরিফুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্যালয়টির ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে বিজয় শিশুশিক্ষার প্রাক্-বিদ্যালয় বিষয়বস্তুগুলো শ্রেণিকক্ষে বড় পর্দায় দেখানো শুরু করি। এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সঙ্গে পড়াশোনা করে।’ এরপর তিনি ভেবে দেখেন, যদি প্রতিটি শিশুর হাতে তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তবে আরও ভালো হয়। এর মধ্যে বিজয় শিশুশিক্ষা দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা উপকরণ তৈরি করে ফেলে। এগিয়ে আসে বেসরকারি সংস্থা ডিনেট। ওদিকে মোস্তাফা জব্বার সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যান স্বল্পমূল্যে ট্যাবলেট কম্পিউটারের খোঁজে। অবশেষে সব ব্যবস্থা হয়ে গেলে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আরবান অ্যাকাডেমির প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৪০ শিক্ষার্থীর হাতে কি-বোর্ডসহ ট্যাবলেট কম্পিউটার তুলে দেওয়া হয়। ‘স্বদেশ’ নামের এই ট্যাবলেট কম্পিউটার বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে শিশুদের পাঠদানের উপযোগী করে। প্রতিটি ট্যাবলেটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রথম শ্রেণির সিলেবাস অনুসরণ করে  তৈরি করা বিজয় প্রাথমিক শিক্ষা-১ সফটওয়্যার ইনস্টল করা আছে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা এসব কম্পিউটার ও ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বিজয় ডিজিটাল।  সৈয়দ আরিফুজ্জামান ২০১৮ সালের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে এই ট্যাবলেট কম্পিউটার পৌঁছে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত এই শিক্ষার্থীরা ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্যবহার আয়ত্ত করে ফেলেছে। শিখছেও দ্রুত। এই মাধ্যমে শিক্ষা খুব কার্যকর হচ্ছে।’ আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, আমাদের দেশে তা হচ্ছে এত দিন পর। তবু তো চাকা গড়াল। সে জন্যও উদ্যোক্তারা একটা ধন্যবাদ তো পেতেই পারেন। তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে একদিন জ্যোতির্ময় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এমনটাই সবার প্রত্যাশা।কেবল পূর্বধলার অভিজ্ঞতাই নয়, আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল, গৌরীপুর, ই-বর্ণমালা স্কুল নোয়াপাড়া যশোর, ইংলিশ ভারসন স্কুল মিরপুরসহ অন্তত শ খানেক স্কুলে বিজয়-এর সফটওয়্যারসহ মিনি ল্যাপটপ পৌঁছেছে। কেউ কেউ ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেও এই মিনি ল্যাপটপ পৌঁছে দিয়েছেন। কেউ কেউ ক্লাশরুমটাকে ডিজিটাল করেছেন।২৪ জানুয়ারি শেষ হওয়া বিসিএস কম্পিউটার সিটির মেলার বিষয়টিও আমরা উল্লেখ করতে পারি। এবারের মেলায় বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রজেক্টর, ল্যাপটপ ও মিনি ল্যাপটপ সংগ্রহ করেছেন। শিক্ষাকে ডিজিটাল করার যে শ্লোগানটি এই মার্কেটের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেছিলেন তারা নিজেরাই মনে করেন যে, সেটি যথার্থ ও সঠিক হয়েছে। এটি আজ সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা পাওয়াটি সত্যিকার অর্থেই শিশুদের মৌলিক অধিকার। আমি মনে করি, শত বছরের প্রাচীন ধারার শিক্ষা শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেয়া একটি নিবর্তনমূলক অপরাধ।লেখক: তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক।mustafajabbar@gmail.com, www.bijoyekushe.net, www.bijoydigital.comএইচআর/পিআর

Advertisement