দেশজুড়ে

সারিয়াকান্দিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ফসলের ক্ষতি

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর ডুবে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের।

Advertisement

টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে গত কয়েকদিন ধরের বগুড়ার বাঙালী এবং যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

উপজেলার চরাঞ্চলের পাট, আমন ধান, কাউন এবং ধৈঞ্চা জাতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে পানি ডুকে পড়েছে লোকালয়ে। এসব এলাকার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নৌকা যোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার ৫০০ হেক্টর পাট, ১৫০ হেক্টর আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ধৈঞ্চা, কাউন, তিলসহ অন্যান্য ফসল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

Advertisement

কৃষকরা জানিয়েছে আগাম বন্যায় তারা অপরিপক্ব পাটগাছ কর্তন করছেন। এর ফলে তারা শতকরা ৭৫ ভাগ আঁশ কম পাবেন। ফলে এ অঞ্চলে পাটের উৎপাদন কয়েকগুণ কম হবে। এছাড়া তাদের ফলানো চার ভাগের একভাগ পাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ২৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। চারদিকে পানি ওঠায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ছাত্র-ছাত্রীরা নানাবিধ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত উপজেলার ২০০ বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

উপজেলার বড় কুতুবপুর পূর্ব পাড়ার মজনু শাহের স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন, আমার বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। আমরা কষ্টে দিনযাপন করছি।

Advertisement

শাহজাহান আলী নামের একজন বলেন, আমার সাত বিঘা জমির আধাপাকা কাউন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আট বিঘা জমিতে পাট ছিল, তার মধ্যে মাত্র তিন বিঘা জমির পাট আধাপাকা অবস্থায় কোনোমতে কেটে নিয়েছি।

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্যার্তদের সহযোগিতায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরএইচ/জেআইএম