বিয়ে সবার জীবনেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ের পরের জীবন সুখী করতে নারী-পুরুষ দুজনেরই সমান অবদান রাখতে হয়। এক্ষেত্রে সঙ্গীর ভালো-মন্দ, তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা কিংবা সুবিধা-অসুবিধা সব দিকেই অন্যজনের খেয়াল রাখতে হয়। তবেই দাম্পত্য সুখী হবে।
Advertisement
যদিও নারীরা সাধারণত একটু চাপা স্বভাবের হন। ফলে স্বামীর বিষয়ে বিভিন্ন কথা, আশা কিংবা ইচ্ছা মনেই পুষে রাখেন তারা। বিয়ের পর অনেক স্বামীই মনে করেন তারা স্ত্রীর মনের সব খবরই রাখেন। তবে এই ধারণা ভুল। কারণ নারীর মনের খোঁজ রাখা বেশ কঠিন।
সব নারীই তার স্বামীর কাছ থেকে কিছু জিনিস আশা করেন। যা অনেকে মুখ ফুটে বলতে চান না। তবে বুদ্ধিমান স্বামীরা ঠিকই স্ত্রীর মনের আশা বুঝে নেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক স্বামীর কাছে কোন আশা কোন আশা করেন স্ত্রী-
>> ঘরের কাজ দুজনেরই ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত। তবে অনেক স্বামীই ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করেন না। আর স্ত্রী হয়তো তাদেরকে মুখে বলতেও পারেন না ওই কথা। তাই অবসরে থাকলে স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করা উচিত সব স্বামীর।
Advertisement
>> অনেক পুরুষই নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেন কিংবা স্ত্রীর মতামতকে প্রাধান্য দেন না। এতে কিন্তু স্ত্রীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে। তবে বুদ্ধিমান পুরুষরা কখনো স্ত্রীর মতামতকে এড়িয়ে চলেন না। সব স্ত্রীই চান তার স্বামী মনোযোগ দিয়ে কথা শুনবেন।
>> স্ত্রীকে হঠাৎ করে সারপ্রাইজ দেওয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। স্বামীর কাছ থেকে সারপ্রাইজ প্রত্যাশা করেন কমবেশি সব স্ত্রীই। তাই স্বামীর উচিত এই বিষয়টি মাথায় রাখা।
>> ঘুরতে যেতে কে না পছন্দ করেন। আপনিও হয়তো পছন্দ করেন, তবে সময়ের অভাবে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যেতে পারেন না! এই বিষয়টি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সময় পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো উচিত স্বামীর। এতে মনও ভালো থাকে আবার মানসিক চাপও কমে। স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় থাকেন অনেক স্ত্রী।
Advertisement
>> প্রতিটি মানুষের মধ্যেই প্রাধান্য পাওয়ার বাসনা থাকে। আপনার সঙ্গীর মধ্যেও এই আশা আছে নিশ্চয়ই। তাই সব বিষয়েই সঙ্গীকে প্রাধান্য দিন। অনেকেই স্ত্রীকে ছোট করে দেখেন। এমন মনোভাব সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য দায়ী হতে পারে।
জেএমএস/এএসএম