লাইফস্টাইল

হাই কোলেস্টেরল যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ

শরীরে ভালো-খারাপ দুটো কোলেস্টেরলই থাকে। তবে জীবনযাত্রায় অনিয়ম ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে খারাপ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। বর্তমানে এটি একটি গুরুতর রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

কোলেস্টেরল আসলে এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা কোষের ঝিল্লি বা (সেল মেমব্রেনে)-এ পাওয়া যায়। এটি সব প্রাণীর রক্তে পরিবাহিত হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সেল মেমব্রেনের এটি একটি অত্যাবশ্যক উপাদান।

এলডিএল, এইচডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইডসহ বিভিন্ন ধরনের কোলেস্টেরল থাকে শরীরে। তার মোট পরিমাণই টোটাল কোলেস্টেরল। এই টোটাল কোলেস্টেরলের মান থেকে শরীরে কোলেস্টেরলের আসল অবস্থা অনুমান করা যায় না। এইচডিএলের পরিমাণ বেশি থাকলে তা শরীরের জন্যে উপকারী। অন্যদিকে এলডিএলের পরিমাণ বেশি হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে ভারতের রুবি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মিত্র জানান, এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রক্তনালির ভেতরে জমে এই কোলেস্টেরল হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি ঘাতক রোগের কারণ হতে পারে।

Advertisement

হার্টের সমস্যা

চিকিৎসকের মতে, অনেক সময় কোলেস্টেরল হার্টের রক্তনালির ভেতরে জমে। সারা দেহের যেমন কাজ করতে রক্তের প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনই হার্টেরও প্রয়োজন হয় রক্তের।

এক্ষেত্রে হার্টের ধমনিতে কোলেস্টেরল জমলে রক্ত চলাচল করতে পারে না। তখন বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। আর ব্যবস্থা না নিলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। তাই সবাইকে অবশ্যই এই লক্ষণে সতর্ক হতে হবে।

ফ্যাটি লিভার

Advertisement

বর্তমানে অনেক মানুষই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে লিভারে ফ্যাট থাকলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। লিভারে ফ্যাটের মূলত দুটি ভাগ থাকে- ট্রাইগ্লিসারাইডস ও কোলেস্টেরল। অর্থাৎ এই রোগের সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িত আছে কোলেস্টেরল।

পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ

ডা. মিত্রের মতে, কোলেস্টেরল শরীরের যে কোনো রক্তনালির ভেতরে জমতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, কোলেস্টেরল জমছে পায়ের ধমনিতে। সেক্ষেত্রে পায়ে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে পারে না। এ কারণে পায়ে খুব ব্যথা হয়। এমনককি হাঁটতেও কষ্ট হয় অনেকের।

ব্লাডপ্রেশার ও ডায়াবেটিস

কোলেস্টেরল হলো মেটাবোলিক ডিজঅর্ডার। কোলেস্টেরল বেশি থাকলে অনেক সমস্যাই দেখা দেওয়া সম্ভব। এমনই একটি সমস্যা হলো ব্লাডপ্রেশার ও ডায়াবেটিস। এই দুটি সমস্যা দেখা গিয়েছে কোলেস্টেরল রোগীদের বেশিরভাগ সময়ই থাকে।

স্ট্রোক

আমাদের মাথায় বিভিন্ন রক্তনালি আছে। রক্তনালির ভিতরেও কোলেস্টেরল জমতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্তনালিতে কোলেস্টেরলম জমে মিনি স্ট্রোক হয়।

এছাড়া কোলেস্টেরলের সঙ্গে প্রেশার বা ডায়াবেটিস থাকলে সাধারণ স্ট্রোকের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে বলে জানালেন ভারতের এই চিকিৎসক।

জেএমএস/এমএস