কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৪৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। এখন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Advertisement
শুক্রবার (১৭ জুন) রাতে মনিরুল হক সাক্কু জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটিতে নির্বাচিত হয়েও চেয়ারে বসতে পারলাম না। পরিকল্পিতভাবে আমাকে হারানো হয়েছে। এবার সিটি নির্বাচনে আমার অংশ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। ভক্তদের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আগামীতে আর কখনো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবো না। এখন থেকে কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি বলেন, মাঠ গোছানোর পরিকল্পনা করছি। সপ্তাহে ৪ দিন করে মাঠে কাজ করবো। কোরবানীর ঈদের পর থেকে পুরোদমে মাঠে সক্রিয় থাকবো।
Advertisement
আপনি দলে ফিরে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাক্কু বলেন, দল যদি আমাকে চাই অবশ্যই ফিরে যাব। না হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে আদর্শ সদর উপজেলা থেকে অংশ নেবো। দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
সিটি নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ করে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমরা সব কেন্দ্রের ফলাফল আবারও পর্যবেক্ষণ করে দেখছি। আদালত খুললে রোববারের পর যেকোনো দিন এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৪৩ ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও দুই বারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষই জয়ী মিছিল নিয়ে শিল্পকলা একাডেমীতে এসেন। এরপরই ঘোষণাকেন্দ্রে শুরু হয় হট্টগোল।
৪৫ মিনিট পর রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বেসরকারিভাবে আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন। ঘোষিত ১০৫ কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায় আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট আর মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। ঘোষণার পর পরই গণমাধ্যমের কাছে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন সাক্কু।
Advertisement
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস