ইউরোপের শেষপ্রান্তের সমুদ্র উপকূলীয় দেশ পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। দুই দেশের এই নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে অ্যাংলো-পর্তুগিজ জোটের মাধ্যমে। দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের গতি টেনে নিয়েছে শত শত বছর।
Advertisement
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে পর্তুগালের যোগদান ও উন্নতির দিকে তাকালেই তাদের সম্পর্কের দৃশ্য চোখে পড়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বা গ্রেট ব্রিটেন (ব্রেক্সিট) আলাদা হয়ে গেলেও দুই দেশের মধ্যে এখনো রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের আগে-পরের জোটবদ্ধতা ও অতি প্রাচীন সম্পর্কের কথা বিবেচনায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে নতুন চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পর্তুগাল-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের আওতাভুক্ত ক্ষেত্রগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিস্তৃতি লাভ করবে।
Advertisement
তিনি বলেন, লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর পর প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী একটি বৈঠকে মিলিত হন, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোও।
ব্রেক্সিটের পর বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো জোটকে (পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের দীর্ঘ ও টেকসই সম্পর্ক) পুনরায় চালু করার জন্য এই চুক্তি হয়।
পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পর্তুগাল সর্বপ্রথম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তার মধ্যে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো হলো- প্রতিরক্ষা, গবেষণা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, ডিজিটাল ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি।
কোস্তা বলেন, সাক্ষাতে আলোচনা করা বিষয়গুলোই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ যা আমরা মোকাবিলা করছি এবং এই চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে এমন একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় রয়েছে যা আমাদের বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে অনেক সাহায্য করবে বলে আশাবাদি।
এমআরএম/জিকেএস