শ্রেণিকক্ষে সেলফি তোলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সারা শরীরে গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে যশোর পৌর শহরের মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্কুলছাত্র জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে এখন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা চলছে। বৃহস্পতিবার ছিল তাদের শেষ পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ক্লাস রুমে কয়েকজন বন্ধু মিলে ছবি তুলছিল। তাদের এ ছবি তোলা দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম এসে তাকে বেধড়ক বেত্রাঘাত শুরু করেন। একপর্যায়ে জোরে বুকে লাথি মারলে সে দূরে ছিটকে পড়ে।
স্কুলছাত্রের মা বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো দোষ করলে শাসন করার অধিকার শিক্ষকদের আছে। তবে বেধড়ক মারধর ও বুকে লাথি মারা কোনো শিক্ষকের কাজ না। আমার ছেলেটার বুকে লাথি মেরেছে। যদি ওর কোন বিপদ হতো এর দায় কে নিতো? এছাড়া এমনভাবে ছেলেকে মেরেছে সারা শরীরে জখমের দাগ ও সাদা স্কুল ড্রেস রক্তে লাল হয়ে গেছে।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এর আগেও ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল। বারবার তাকে সর্তক করা হলেও সে শুধরায়নি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ হলে ছেলেটি একটি শ্রেণিকক্ষে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সঙ্গে থাকা একটি মেয়ের সঙ্গে সেলফি তুলছিল। তাদের সেলফি ও ছবি তোলা দৃষ্টিকটু হওয়ায় রাগে ছেলেটিকে মারধর করেছি। তবে রাগের মাথায় লাথি মারা ঠিক হয়নি।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দোষ থাকলেও এভাবে মারা ঠিক হয়নি। সহকারী শিক্ষক রাগের মাথায় কাজটি করেছে। ঘটনাটি ঘটার পরে আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্বজনদের ডাকি। দুপক্ষের বক্তব্য শুনেছি। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ওই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিলন রহমান/এসজে/এমএস
Advertisement