কে বেশি প্রতারণা করে, নারী নাকি পুরুষ? এই প্রশ্ন একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করেন অনেকেই! এর উত্তরে কেউ কেউ আবার জানান, পুরুষদের প্রতারণার প্রবণতা নারীদের চেয়ে বেশি।
Advertisement
২০১৮ সালের এক সামাজিক জরিপ দ্বারা সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, প্রায় ২০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও ১৩ শতাংশ বিবাহিত নারী সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।
এই সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, পরকীয়ায় জড়ানো পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে বেশি হলেও বিষয়টি লুকাতে কারা বেশি পারদর্শী তা কি জানেন?
রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালের এক নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষের চেয়ে পরকীয়া লুকাতে নারীরা বেশি পারদর্শী। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১০১ ককেশীয় পুরুষ ও ৪৪ জন নারীর ছবি সংগ্রহ করেছেন।
Advertisement
যারা গবেষকদের কাছে প্রকাশ করেছেন যে, অতীতে তারা সঙ্গীর সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ও পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে প্রতারণা করেছেন এমন পুরুষ সঙ্গীর কাছে ধরা পড়লেও নারীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটি। তারা কোনো না কোনাভাবে ঠিকই পরকীয়ার বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছেন।
গবেষকরা প্রতিটি ছবিকে বিশ্লেষণ করতে ১৫০০ শ্বেতাঙ্গ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরও এক সমীক্ষা চালান। যেখানে পরকিয়ায় লিপ্ত ওইসব নারী-পুরুষের ছবি দেখিয়ে তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে বলেন।
বিশেষজ্ঞরা দেখেন, যে পুরুষ ও নারী উভয়ই একজন পুরুষের চরিত্র কতটা ভালো বা খারাপ কিংবা তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত কি না তা মুখ দেখে অনুমান করা গেলেও কেউই একজন নারীর পরকিয়া ধরতে পারেননি।
ম্যানহাটন-ভিত্তিক মনোচিকিৎসক ডা. কেনেথ রোজেনবার্গ এ বিষয়ে জানান, ২০ শতাংশ পুরুষই প্রতারণা করেন। তবে এই সংখ্যা গত ২০ বা তার বেশি বছর ধরে স্থিতিশীল আছে।
Advertisement
অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে এটি ১৫ শতাংশ হলেও এই সংখ্যা গত ২০ বছরে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীদের মধ্যে সম্পর্কে লুকোচুরির প্রবণতা বেশি।
এ ধরনের গবেষণার উপর ভিত্তি করে বাস্তব খুঁজে বের করা বা কাউকে দায়ী করা মোটেও ঠিক নয়। কারণ এসব গবেষণা সব সময় যে সমাজের সব স্তরের উপর নির্ভর করবে তা কিন্তু নয়!
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট
জেএমএস/এমএস