বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার রক্ষা ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিজয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ছাত্রদলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ওবায়দুল হক নাসির, বর্তমান সহ-সভাপতি তারেক উজ্জামান তারেক, নাজমুল হাসান, আলমগীর হাসান সোহান, জয়দেব জয়, মনিরা আক্তার রিক্তা, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. রাসেল, মিজানুর রহমান সোহাগ, শওকত আরা উর্মি, শাহিনূর নার্গিস, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, অর্থ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খানসহ সংগঠনটির তিন শতাধিক নেতা-কর্মী।নজরুল ইসলাম খান বলেন, তথাকথিত ১/১১ এর সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনকে মানসিকভাবে দুর্বল ও নিজেদের বৈধতা পাওয়ার জন্যই খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছিল। তারা তারেক রহমানকে প্রাণে মারার ষড়যন্ত্র করেছিল। তাকে প্রায় পঙ্গু করে দেয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। ১/১১ সরকার ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে প্রচণ্ড মানসিক চাপে রাখে। এভাবে মানসিক নির্যাতন না করলে কোকো এতো তাড়াতাড়ি মারা যেতেন না।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এখন অনেক কষ্টে আছেন। মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও পার্টি অফিসের সামনে আমাকে গুলি করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আর কে হতে পারে? এ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরপর তারাই আবার নিজেদের বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার।আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।উল্লেখ্য, আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।এমএম/একে/পিআর
Advertisement