করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ব্যবসা কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এসময় খরচ বাঁচাতে কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে অনেককে। মহামারিকালে প্রতি মুহূর্তেই আতঙ্ক কাজ করেছে কর্মীদের মধ্যে, এই বুঝি চাকরি হারাতে হয়! এর মধ্যেই ব্যতিক্রম করাচির একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে একটি রেস্টুরেন্ট। চালু হওয়ার পর থেকে আজপর্যন্ত সেখানে কেউ চাকরি হারাননি, যেকোনো সময় চাকরি হারানোরও ভয় নেই কারও।
Advertisement
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভির খবরে জানা যায়, বুলেভার্দ১৩ নামে ওই রেস্টুরেন্টটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. সৈয়দ দানিয়াল জিলানি। পেশায় চিকিৎসক হলেও অভাবিদের একটি নিশ্চিত রোজগারের উৎস করে দিতে মরামারির সময় রেস্টুরেন্টটি চালু করেন তিনি।
জিও ডিজিটালের সঙ্গে আলাপকালে ডা. জিলানি জানান, রেস্টুরেন্ট থেকে মুনাফা করা তার উদ্দেশ্য নয়। করোনজনিত লকডাউনের মধ্যে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া লোকদের সাহায্য করার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।
জিলানি বলেন, চিকিৎসক হলেও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো থেকে আমি নিজেকে আটকাতে পারিনি। আমি সবসময় রোগীর জায়গায় নিজেকে রেখে চিন্তা করি। সেজন্য অভূতপূর্ব আর্থিক সংকটের মধ্যে মানুষকে আত্মহত্যা করতে দেখে আমাকে পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।
Advertisement
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমি এই জায়গাটি ভাড়া নেই এবং একটি রেস্টুরেন্ট চালু করি। রেস্টুরেন্টের নাম বুলেভার্দ১৩ কেন রাখলেন জানতে চাইলে এর মালিক জানান, বুলেভার্দ বা প্রশস্ত রাস্তা নামটি ওই জায়গার সঙ্গে খাটে। আর ১৩ সংখ্যাটি যোগ করা হয়েছে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর সম্মানে। কারণ ইংরেজিতে বর্ণমালার ১৩তম অক্ষর ‘এম’।
ডা. জিলানি জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ১৪ জন কর্মী রয়েছেন। তিনি তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে চেয়েছিলেন, যেন তরুণ বয়সে প্রয়োজনীয় সব ধরনের খরচ তারা জোগাড় করতে পারেন। এসময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেন করাচির এই চিকিৎসক।
কেএএ/জেআইএম
Advertisement