দেশজুড়ে

মানুষের অসচেতনতায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে : ড. কামাল

বন ও পরিবেশ সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয় জনগণকে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার কৌশল বের করতে হবে।সোমবার খুলনার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকরণে জাতীয় কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা (এনবিস্যাপ) ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। খুলনা পরিবেশ অধিদফতর এ কর্মশালার আয়োজন করে। সচিব বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন খুলনায় অবস্থিত। যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এ বনে রয়েছে সাড়ে তিনশ প্রজাতির পাখি। সুন্দরবনই দক্ষিণাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ মানুষের অসচেতনতায় জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। এ হুমকি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে এনবিস্যাপ প্রকল্পের উদ্যোগে খসড়া কর্মপরিকল্পনা। যা রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছে। এটাকে আরও যুগোপযোগী করতে স্থানীয় জনগণের সুপারিশ সম্বলিত কর্মকৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এটাই এ কর্মশালা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পরিবেশ অধিদফতরের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান আহমেদ এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিস্যাপ প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ সোলায়মান হায়দার। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন খুলনা পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, প্রজাতি সংরক্ষণে স্থানীয় মানুষকে উৎসাহিত করাসহ বিষ প্রয়োগে মাছের প্রজাতি বিনষ্টকরণ ও নেটপাটা এবং কারেন্টজালের বিস্তার রোধ করতে হবে। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয় জরুরী।কর্মশালায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিবেশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি, তথ্য, বন বিভাগের কর্মকর্তা, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।আলমগীর হান্নান/ এমএএস/পিআর

Advertisement