জাতীয়

ফলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী

দেশের জমি যেভাবে কমছে আর মানুষ যে হারে বাড়ছে, এতে করে আগামীতে পুষ্টি নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। তবে ফলমূল চাহিদা অনুযায়ী খেতে পারছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া উঠিত। কিন্তু দেশের মানুষ গড়ে ৮২ গ্রাম ফল খায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা-২০২২। সকালে খামারবাড়ির কেআইবি চত্ত্বরে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ বছর জাতীয় ফল মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।

কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা তেল আমদানিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছি। কিন্তু তেলজাতীয় ফল নারিকেলের উৎপাদন বাড়িয়ে অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। সে কাজের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার। আপনারা বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা নিন। এমন পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে দেশের অর্থ সাশ্রয় হয়। আমদানি সমস্যা সমাধান হবে এমন পরিকল্পনার জন্য অর্থের অভাব হবে না। কিন্তু আপনাদের আন্তরিক হতে হবে। জেলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিন ফলের জাত সম্প্রসারণে। যাতে বিদেশ থেকে ফল আনার দরকার না হয়। বরং রপ্তানি করে যেন অর্থ আসে।

তিনি আরও বলেন, সবাই শুধু ফলের জাত উদ্ভাবন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু সেগুলো সম্প্রসারণ হচ্ছে না। যেন সব কৃষক সেটা পায়, এমন ব্যবস্থা নিন। কৃষি সংশ্লিষ্ট সব ডিপার্টমেন্ট কর্মসূচি গ্রহণ করুন। যেন আগামী বছর ফলমেলায় উদ্ভাবিত জাত উপস্থাপন করতে পারেন। মাঠভিত্তিক কাজ করুন।

Advertisement

এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ।

এনএইচ/জেএস/এমএইচআর/জিকেএস