চলছে শীতের দাপট। আর ২ থেকে ৩ মাস পর বর্ষাকাল। ১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয় রাজধানী। সেসময়ের জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। মেয়র আনিসুল হকের কাছে জানতে চেয়েছেন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকরা। সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইলেট্রনিক মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন তোলেন। উত্তরে ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘রাজধানীর জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ খাল ভরাট করে রাখা। ঢাকার ২৬টি খাল কেউ না কেউ দখল করে রেখেছে। এতে মেয়রের কিছু করার নাই।’ তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা কমাতে ওয়াসাকে ইতোমধ্যে স্ট্রং ড্রেনেজের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিয়ে ওয়াসা এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। এসময় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে চ্যানেল আইয়ের ডিরেক্টর এবং হেড অব নিউজ শাইখ সিরাজ বলেন, রাতে ঢাকার অনেকে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরে। সেসময় তারা পরিবহন সমস্যায় পড়েন। এছাড়াও সম্প্রতি নাগরিকদের উপর পুলিশি হয়রানি বেড়েছে। পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই ধরনের প্রশ্ন করেন এটিএন বাংলার সিইই জয়. ই. মামুন। উত্তরে আনিসুল হক বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএনসিসির সড়কগুলোতে মোট ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। মে মাসের মধ্যে ১ হাজার ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হবে। এগুলো তদারকির জন্য পুলিশের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের একটি বড় কন্ট্রোল রুম থাকবে। ক্যামেরাগুলো হাই রেজোল্যুটেড এবং ব্যয়বহুল। আশাকরি সেসময় অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে। মেয়র আনিসুল হক বলেন, ঢাকা আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা এবং ডিএনসিসির সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ৮০ ভাগ নির্ভর করে সাধারণ মানুষের উপর। তারা যদি সচেতন হন, যদি সাহায্য করেন তাহলেই কেবল আমরা ঢাকাকে মনের মতো নগরীতে পরিণত করতে পারবো। এসময় ইলেট্রনিক মিডিয়ায় জনসচেতনতামূলক ভিডিও প্রচারের জন্য ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট সময় বরাদ্দ চান আনিসুল হক। তার আহ্বানের সঙ্গে একমতও হয়েছেন মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভায় আনিসুল হক যানজট নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট মেয়রের দায়িত্ব নয়। কিন্তু জ্যাম লাগলে প্রথমে সবাই মেয়রকে গালমন্দ করেন। তবুও যানজট নিয়ন্ত্রণে ঢাকার ৫টি বড় এবং ৬৯টি ছোট রাইট টার্ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি। ইতোমধ্যে কয়েকটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২২টি ইউলুপ তৈরির প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে।’ সভায় গত ৮ মাসে রাজধানীর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়ায় জন্য মেয়রকে ধন্যবাদ জানান সিনিয়র সাংবাদিকরা। সভায় উপস্থিত আরো ছিলেন; এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নি সাহা, একুশে টিভির এডিটর ইন চিফ মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিজয় টিভির সিইও আল মামুন, দীপ্ত টিভির সিওও উর্ফি আহমেদ, মোহনা টিভির সিইও রাসেল আলম, বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশিদ, একাত্তর টিভির এডিটর ও সিইও সামিয়া জামান, এনটিভির হেড অব নিউজ খায়রুল আলম, বৈশাখী টেলিভিশনের ডিএমডি টিপু আলম, এটিএন নিউজের সিইও সরকার ফিরোজ, আরটিভির সিইও সাঈদ আশিক রহমান, এসএ টিভির সিইও সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, সময় টিভির সিইও আহমেদ জুবায়ের, বাংলাভিশনের ডিএমডি ইশতিয়াক হোসাইন প্রমুখ। এআর/এসএইচএস/পিআর
Advertisement