আউজু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম-এর সঙ্গে পরিচয় নেই, মুসলিম সমাজে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ‘আউজু বিল্লাহ’ আরবি শব্দ। পূর্ণ বাক্য ‘আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’-এর অর্থ হলো বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আউজুবিল্লাহকে এক কথায় ‘তায়াউজ’ বলা হয়। আউজু বিল্লাহ পড়ায় রয়েছে অনেক ফজিলত। কিন্তু আউজু বিল্লাহ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেকেই জানে না। যা জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আউজু বিল্লাহ পাঠের উপকারিতা ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-আল্লামা ইবনে কাসির রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বেশি পরিমাণ আউজুবিল্লাহ পাঠে মানুষের জিহ্বা মন্দ ও নিন্দনীয় কথার প্রতিক্রিয়া থেকে পবিত্রতা লাভ করে। শয়তান দূরে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং মানুষ আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় লাভ করে। অন্যায়-অশ্রাব্য বাক্য উচ্চারণের ফলে মুখে যে অপবিত্রতা লেগে যায়, আউজু বিল্লাহর ফলে তা ধুয়ে যায়।মুখ হচ্ছে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের অঙ্গ। আউজু বিল্লাহ পাঠের মাধ্যমে মুখ কুরআন তিলাওয়াতের যোগ্যতা অর্জন করে। শয়তানের মারাত্মক আক্রমণের মোকাবিলার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়।শয়তান মানুষকে দেখে, কিন্তু মানুষ শয়তানকে দেখে না। আবার আল্লাহ শয়তানকে দেখেন কিন্তু শয়তান তাকে দেখে না, বিধায় সেই মহান শক্তির আশ্রয় ছাড়া শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচার কোনো বিকল্প পথ নেই।আউজুবিল্লাহ পাঠেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন উপকার। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে দুই ব্যক্তি দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত হলো। তাদের মধ্যে একজন খুব বেশি রেগে গেলো। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি সে ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পাঠ করে, তাহলে তার রাগ-ক্রোধ দূর হয়ে যাবে (তিরমিজি, আবু দাউদ)।সুতরাং দুনিয়ার সকল কর্মের শুরুতেই আউজু বিল্লাহ পড়ে শয়তানের ষড়যন্ত্র থেকে হিফাজাত থাকা প্রত্যেকে বনি আদমে উচিত। আল্লাহ তাআলা আউজু বিল্লাহ পড়ে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হিফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement