দেশজুড়ে

কেন্দ্রের গোপন কক্ষে উঁকি, ধরা পড়েনি ইসির সিসি ক্যামেরায়!

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে কাউকে উঁকি দিতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের দাবি, কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় এমন কিছু দেখা যায়নি।

Advertisement

কুমিল্লা সিটিসহ দেশের অন্যান্য নির্বাচনে মনিটরিং করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইসি।

বুধবার (১৫ জুন) পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইসির আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কমিউনিকেশন) স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম এই দাবি করেছেন।

এর আগে সকালে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই কুসিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গোপনকক্ষে শুধুমাত্র ভোটার থাকার কথা থাকলেও, কুমিল্লার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুইজনকে দেখা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দৈয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নারীদের বুথে এক পোলিং কর্মকর্তাকে উঁকি মারার ছবি গণমাধ্যমে এসেছে।

Advertisement

তবে সিসি ক্যামেরায় কাউকে গোপন কক্ষে উঁকি দিতে বা ওই দুজনকে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন মো. শাহরিয়ার আলম।

গোপন কক্ষে উঁকি দেওয়া হচ্ছে, এমন কিছু দেখেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুসিক ভোটের প্রত্যেকটি গোপন কক্ষই আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাচ্ছি। গোপন কক্ষে কেউ উঁকি দিচ্ছে এরকম আমরা দেখিনি। কেউ উঁকি দিলে সেটা আমরা দেখতে পেতাম। দেখলে অ্যাকশন নিতাম। মনিটরিং করে আমরা অস্বাভাবিক কিছু পাইনি।

তিনি বলেন, অভিযোগ ছিল যে, ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে দুজন ব্যক্তি গেছেন, তা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা খতিয়ে দেখেছি, সে ধরনের কিছু ছিল না।

কুসিক ছাড়াও এদিন একটি উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন ও তিনটি উপজেলায় বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন, পাঁচ পৌরসভায় সাধারণ ও একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন, ১৩২টি ইউনিয়নে সাধারণ ও ৪৭টি ইউপিতে বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুসিক, ১৩২ ইউপি ও দুটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে।

Advertisement

এসব ভোটে মোট ১ হাজার ৪৪০টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছে। তার মধ্যে কুসিক নির্বাচনে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আর পাঁচ পৌরসভায় ৫৯০টি বসানো হয়েছে।

জানা গেছে, ইসির সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে মুঙ্গলবার (১৪ জুন) ভোর ৬টায় পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। মনিটরের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলোয় যা হচ্ছে তা তারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইসির মোট ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই দায়িত্ব পালন করছেন। সবসময় পাঁচজনে ৮ ঘণ্টা করে এই দায়িত্ব পালন করছেন।

আগামী ১৬ জুন ভোর ৬টা পর্যন্ত তারা এই পর্যবেক্ষণ করবেন। ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সংগঠিত হলে বা কারিগরি সমস্যা পরিলক্ষিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

এসএম/ইএ/এমএস