কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন না। তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদের গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না। তদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। তারা কারা? কী তাদের অপরাধ?
Advertisement
হাদিসে পাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন শ্রেণির মানুষের ব্যপারে সতর্ক করেছেন। যাদের প্রতি মহান আল্লাহ তাকাবেন না। তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন। তাদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন-
ثلاثةٌ لا يُكلمهم الله يوم القيامة، ولا يُزَكِّيهم، ولا يَنظُر إليهم، ولهم عذابٌ أليم: شَيخٌ زَانٍ، ومَلِكٌ كذَّاب، وعَائِل مُسْتكبر
Advertisement
‘আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের দিকে তাকাবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। তারা হলো-
১. বৃদ্ধ ব্যভিচারী
২. মিথ্যাবাদী শাসক এবং
৩. অহংকারী গরিব।’
Advertisement
বৃদ্ধ মানুষ, বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তবুও জিনা করে। মানুষের প্রতিনিধি/শাসক তারপরও সে মিথ্যা কথা বলে এবং গরিব মানুষ তারপরও সে অন্যের সঙ্গে অহংকার করে ও অন্যদের নিকৃষ্ট মনে করে। আল্লাহ তাআলা এ তিন শ্রেণির মানুষের গুনাহ ক্ষমা করবেন না। তাদের দিকে তাকাবেন না। তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন না।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত তিন অবস্থায় হাদিসের নির্দেশিত বিষয়ে আমল করা। মন্দ গুণগুলো পরিহার করা। কেয়ামতের দিন মহান রবের ক্ষমা ও নেক দৃষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম