দেশজুড়ে

বিষমুক্ত সবজি চাষ করে শ্রেষ্ঠ কৃষক নির্বাচিত

এক লাফে কেউ বড় হতে পারে না। তার জন্য প্রয়োজন হয় চেষ্টা, সততা, পরিশ্রম আর একাগ্রতা। বিষমুক্ত বা নিরাপদ সবজি উৎপাদন শুরু সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। এক সময় পরের ক্ষেতের কামলা ছিলেন আর এখন ৫০ বিঘা জমির মালিক। বলছিলাম ঝিনাইদহের কৃষক আলতাফ হোসেন ওরফে আলতু মিয়ার কথা। তিনি সবজি চাষে দেশসেরা নির্বাচিত হয়েছেন। পুরষ্কার পেয়ে খুশি আলতু মিয়া জানান, গত ১৯ জানুয়ারি কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেন সেরা এই পুরষ্কারটি।তিনি আরও জানান, অন্যের কৃষি জমিতে শ্রম বিক্রি করেছেন। এক সময় নিজেই শুরু করেন সবজি চাষ। ক্রমান্বয়ে সবজি চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়েছেন। আর্থিক অনটনের কারণে তাকে ছোট বেলাতেই গ্রামের রব্বানী মিয়ার বাড়িতে রাখালের কাজে নিয়োগ করে দেন। সেখানে কৃষি কাজ দেখে ভালো লাগলেও চলে যান মোটরগাড়ির হেলপারের কাজে। ট্রাকে হেলপারি করার সুযোগে ঢাকার কারওয়ান বাজারে সবজি কেনাবেচা দেখে চাষে উদ্বুদ্ধ হন। এক সময় বাড়ি ফিরে শুরু করেন সবজি চাষ।আলতাফ হোসেন জানান, ১৯৮৪ সালের দিকে গ্রামে ফিরে রব্বানী মিয়ার কাছেই কিছু জমি বর্গা চান। শুরু করেন সবজি চাষ। আস্তে আস্তে সবজি চাষ করে লাভবান হতে থাকেন। ক্রয়ের মাধ্যমে বাড়াতে থাকেন কৃষি জমি। আলতু মিয়া জানান, বর্তমানে তার ৫০ বিঘা জমি আছে। গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সালাম জানান, আলতাফ হোসেন ওরফে আলতু মিয়া (৫৫) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্নাবাজার সংলগ্ন গান্না গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। ব্যক্তি জীবনে তার স্ত্রী আর তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। কৃষি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। তার ক্ষেতে সারাক্ষণ ১৫ থেকে ২০ জন কৃষি শ্রমিক কাজ করছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খাঁন মো. মনিরুজ্জামান জানান, আলতু মিয়ার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গান্না এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমানের অনেক অবদান রয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে মাঠে তার ৩৯ বিঘা পেঁপে, ২১ বিঘা কলা, ৩০ বিঘা আলু, ৬ বিঘা বেগুন, ৬ বিঘা পটল, ৬ বিঘা সরিষা, ফুল ও পাতা কপি আছে ২৭ বিঘা। এছাড়াও আরও কিছু সবজি চাষ করছেন তিনি।এসএস/এমএস

Advertisement