জাতীয়

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ৭ দিন পর মারা গেলেন দগ্ধ নুরুল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নুরুল কাদের (২২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

পার্ক ভিউ হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিস্ফোরণের পর থেকেই নুরুল কাদের পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আজ দুপুরে আইসিইউতে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, নিহত নুরুল কাদেরের বাড়ি বাঁশখালীর পূর্ব চেচুরিয়া গ্রামে। গত ৫ জুন তাকে পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় বলে তার ভাই রুহুল কাদের জানান।

এদিকে রোববার (১২ জুন) ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গাউসুল আজম

Advertisement

গত ৪ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১২টার পর থেকে আসতে থাকে মৃত্যু খবর। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।

এ দুর্ঘটনায় সর্বশেষ ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪৮ জনের মধ্যে ২৯ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ২৭ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে রোববার হস্তান্তর করা হবে। এখনো ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে এখনো ৯৯ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা-শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও ভর্তি অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।

ইকবাল হোসেন/ইএ/জেআইএম

Advertisement