নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ঈমানের পরেই এর স্থান। যার নামাজের হিসাব সহজ হবে তার সব কাজের হিসাবই সহজ হবে। আল্লাহ তাআলা কিছু নামাজির গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। এসব নামাজি কারা?
Advertisement
গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির অন্যতম আমল নামাজ। যেসব নামাজি নামাজ পড়ার জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখে তারাই পাবে এ মর্যাদা। গুনাহ মাফ ও মর্যাদা পেতে হাদিসে ৩টি দিকনির্দেশনা এসেছে। তাহলো-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না? যা দ্বারা আল্লাহ তাআলা পাপরাশি দূর করে দেবেন এবং মর্যাদা উঁচু করে দেবেন?
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হ্যাঁ’, অবশ্যই (বলবেন) হে আল্লাহর রাসুল! তখন তিনি বললেন-
Advertisement
১. অসুবিধা ও কষ্ট থাকা সত্ত্বেও (নামাজের জন্য) পরিপূর্ণভাবে অজু করা।
২. মসজিদে যাওয়ার জন্য বেশি পদচারণা করা।
৩. এক নামাজের পর অন্যনামাজের জন্য অপেক্ষা করা।
জেনে রাখ! এটাই হলো রিবাত।’ (মুসলিম)
Advertisement
রিবাত : এটি হলো নিজেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যে আটকে রাখা ও শয়তানের মোকাবেলায় নিজেকে প্রস্তুত রাখা। যা অধিকাংশ ঈমানদার মানুষের জন্যই সহজ।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসের অনুসরণে নামাজের জন্য উত্তমরূপে অজু করা। মসজিদে যাওয়ার সময় যথাসম্ভব বেশি পদচারণার মাধ্যমে মসজিদে যাওয়া। জামাতে এক ওয়াক্তের নামাজ পড়ার পর অন্য ওয়াক্তের নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। আর এতেই রয়েছে নামাজির গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির ঘোষণা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত নিয়তে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন। জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস