জাতীয়

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ৮ জনকে আসামি করে মামলা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা এবং তাতে প্রাণহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

তবে পুলিশ মামলার আসামিদের নাম-পরিচয় জানায়নি। সীতাকুণ্ড থানা সূত্র জানিয়েছে, মামলার সব আসামি বিএম ডিপোর বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে দুর্ঘটনায় আটজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।’

Advertisement

তবে মামলার আসামিদের নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।

গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১১টার দিকে কেমিক্যালভর্তি কনটেইনার বিস্ফোরণ হয়। রাত ১২টার পর থেকে মৃতের খবর আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।

এদিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঘটনার পর এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিষ্ঠান চার রকম তথ্য দেয়। রোববার (৫ জুন) রাতে দেওয়া তথ্য পরদিন সকালে সংশোধন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

রোববার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৬। এরও পরে রাত ৯টায় জেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডেও জানানো হয় মৃতের সংখ্যা ৪৬।

Advertisement

তবে সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। তবে এর আগেই সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন নোটিশ বোর্ড সংশোধন করে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন বলে জানায়।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ জুন) আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেলে বুধবার (৮ জুন) দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

ইকবাল হোসেন/এএএইচ/এএসএম