জাতীয়

সীতাকুণ্ডে আহতদের দেখতে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রতিনিধি দল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক বিস্ফোরণে ঘটনায় আহত রোগীদের অবস্থা দেখতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে গিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

Advertisement

বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের সমন্বয়ক ডা.সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পৌঁছান।

ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত ৬ জন রোগীকে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই চোখে আঘাত পেয়েছেন।

তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন শেখ হাসিনা বার্নের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন ও ডা. হেদায়েত।

Advertisement

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ৬৩ জন রোগী কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেওয়ার প্রয়োজন হবে। একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাকে দেশের বাইরেও নিতে হতে পারে।

গত শনিবার দিনগত রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রায় ৬১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যসহ নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। যদিও রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সিভিল সার্জন কার্যালয় মৃতের সংখ্যা ৪৯ জানিয়েছিল। তবে গতকাল সোমবার তারা জানান, মৃত মানুষের সংখ্যা গণনায় ভুল ছিল, নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা ৪১ জন।

মঙ্গলবার মূল অগ্নিকাণ্ডের স্থান থেকে আরও দুটি মরদেহ শনাক্ত করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। বুধবার ভোর ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

স্মরণকালের ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্য, ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমকেআর/জেআইএম