জাতীয়

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আজও ডিএনএ সংগ্রহ করছে সিআইডি

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ শনাক্তে তৃতীয় দিনের মতো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল। বুধবার (৮ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে স্থাপিত বুথে অপেক্ষা করছেন তারা।

Advertisement

তবে বেলা ১১টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নমুনা দেওয়ার জন্য কেউ আসেননি।

সিআইডি চট্টগ্রামের ফরেনসিক ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত দুই দিনে ২৩ পরিবারের ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর থেকে মৃতের খবর আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ঘটনার পর এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিষ্ঠান চার রকম তথ্য দেয়। রোববার (৫ জুন) রাতে দেওয়া তথ্য পরদিন সকালে সংশোধন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

রোববার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৯ জন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। এরও পরে, রাত ৯টায় জেলা প্রশাসনের নোটিশ বোর্ডেও জানানো হয় মৃতের সংখ্যা ৪৬।

কিন্তু সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।

Advertisement

তবে এর আগেই সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন নোটিশ বোর্ড সংশোধন করে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন বলে জানায়।

এদিকে এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩ জনে। এছাড়া চমেকে আজ দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৪ জনে।

ইকবাল হোসেন/ইএ/জেআইএম