জাতীয়

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিনজন আইসিইউতে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত পাঁচজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং সোসাইটি অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) পক্ষ থেকে বুধবার (৮ জুন) বেলা ১১ টার দিকে দগ্ধদের জন্য ওষুধ ও খাবার গ্রহণকালে এ কথা বলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। এসময় রিহ্যাব-চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শামীম আহসান বলেন, বিএম ডিপোতে দগ্ধদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদের মধ্যে একজন চমেক হাসপাতালে, একজন আন্দরকিল্লা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ও একজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাছাড়া চমেক হাসপাতালে এখনো ৫৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অনেকের ইনফেকশন রয়েছে। হাসপাতালে মানুষের আসা-যাওয়ার ফলে ইনফেকশনের ঝুঁকি আরও বাড়বে শঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত পাঁচজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহুদূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে।

Advertisement

অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ইকবাল হোসেন/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement