দেশজুড়ে

যশোর রেলস্টেশনে ভারতফেরত যাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ

যশোর রেলওয়ে স্টেশনে পুলিশের বিরুদ্ধে ভারতফেরত যাত্রীকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানি, মালামাল লুট, চাঁদাবাজি ও সাদা কাগজে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

রোববার (৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৬ জুন) জিআরপি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই যাত্রী।

হয়রানির শিকার ওই যাত্রীর নাম টি এম রাশিদুল হাসান। তিনি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার ধুপিল মেহমানশাহী গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা তেজগাঁও কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র।

রাশিদুল হাসানের অভিযোগ, রোববার তিনি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। এরপর বাসযোগে রাত ৮টার দিকে যশোর স্টেশনে আসেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসে করে বাড়ি (সিরাজগঞ্জ) যাওয়ার জন্য। স্টেশনে অবস্থান করার সময় রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) কনস্টেবল আবু বক্কর ও আলআমিনসহ সাদাপোশাকধারী আরও তিনজন তার ব্যাগ তল্লাশির নামে ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

Advertisement

সেখানে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে ভারত থেকে আনা পোশাক, প্রসাধনীসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে নেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে সাদা কাগজে সই নেন। এরপর রাত দেড়টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। পরে বাধ্য হয়ে প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়িতে ফেরেন রাশিদুল।

রাশিদুল জানান, রেলওয়ে পুলিশের মালামাল লুট ও চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে রেলওয়ে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে এসপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বরাবর অভিযোগ করেন। তিনি আরও জানান, ওই রাতে তিনি যে বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়েছেন তার স্ক্রিনশট, গোপনে পুলিশ কনস্টেবলদের তোলা ছবি ও ভিডিও অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। ঘটনার সময় স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করলেও তার অভিযোগের সত্যতা মিলবে বলেও দাবি করেন রাশিদুল।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ কনস্টেবল আবু বক্কর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই রাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা কোনো যাত্রীকে তল্লাশি করেননি। যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, যাত্রী হয়রানি বা চাঁদাবাজির এমন কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।

এ বিষয়ে খুলনা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মো. রবিউল হাসান বলেন, ‘যাত্রী হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Advertisement

মিলন রহমান/এসআর/এএসএম