গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মার্কেট শেয়ার (গ্রাহক হার বা মোট বিক্রি) মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। অপরদিকে সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার গ্রামীণফোনের ৪৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, রবির ২৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বাংলালিংকের ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং টেলিটকের তিন দশমিক ৭ শতাংশ।
একই সঙ্গে তিনি জানান, সব অপারেটর অভিন্ন কলরেট করলে গ্রাহকরা গ্রামীণফোনের দিকে আকৃষ্ট হবে বেশি।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার বেশি থাকায় সব অপারেটরদের একই কলরেট নির্ধারণ হলে তাদের সেবার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাবে। ফলে তাদের মার্কেট শেয়ার আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। এ অবস্থায় বাধাগ্রস্ত হবে ছোট অপারেটরদের মার্কেটের অবস্থান।
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশে টেলিটকের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে।
এসময় তিনি টেলিটকের গ্রাহক হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার বলেন, মোবাইল ফোনে কলড্রপ ও নেটওয়ার্কের সমস্যা বড় সংকট। এমন কেউ নেই যিনি কলড্রপের শিকার হননি। অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলোর গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহক আট কোটির বেশি, আর রবির পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক।
গ্রাহক অনুযায়ী যে পরিমাণ বেতার তরঙ্গ নেওয়া দরকার তার তিন ভাগের এক ভাগও অপারেটরগুলো নেয়নি বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকারের চাপে গত মার্চে অপারেটরগুলো তরঙ্গ বাড়িয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই তরঙ্গ সম্পূর্ণ সম্প্রসারণ হলে সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে। এসময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো তরঙ্গ সম্প্রসারণ করতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, জরিমানা করার সুযোগ আছে।
এইচএস/জেডএইচ/এএসএম