অবশেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-গেট (স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা) চালু করা হয়েছে। এখন থেকে নিজেরাই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন যাত্রীরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়। এর আগে সোমবার (৬ জুন) পরীক্ষামূলকভাবে এই গেট ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে ১১ মাস আট দিন আগে বেশ ঘটা করে শাহজালাল বিমানবন্দরে এই ই-গেট স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করা হয়। বিমানবন্দরে আগমনী ও বহির্গমন ইমিগ্রেশনে ই-গেট স্থাপন করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি)।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, এই বিমানবন্দরে বহির্গমন এলাকায় ১২টি ও আগমনী এলাকায় দুটি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। আজ থেকে যাত্রীরা পুরোপুরি ই-গেট ব্যবহার করতে পারছেন। ই-পাসপোর্টধারীরা ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট দিয়ে যেতে পারছেন।
Advertisement
আজ এই কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে ই-গেট ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগে ২০১৯ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতায় দীর্ঘদিন ধরে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই-গেট চালুর তাগিদ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ।
যেভাবে কাজ করবে ই-গেট
বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যখন ই-পাসপোর্টধারী একজন ব্যক্তি ই-পাসপোর্ট নিয়ে ই-গেটের সামনে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কেউ যদি ভুল করেন তা হলে লালবাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন।
Advertisement
এমএমএ/বিএ/এএসএম