আমার সন্তানকে কেউ দত্তক নেবেন? কাউকে সামনে দেখলেই এমন কাতর আবেদন করছেন এক মা। ভারতের বর্ধমানের কাটোয়ায় সহায়-সম্বলহীন মৃত্যুপথযাত্রী সুপর্ণা ভট্টাচার্য তার পাঁচ বছরের সন্তান পৃথ্বীশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুর্ভাবনায় পড়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে মেডিকেল পরীক্ষায় ধরা পড়ে সুপর্ণার একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে তার মা-এর একটি কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রতিস্থাপনের পরবর্তী চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারেননি তিনি। ফলে প্রতিস্থাপিত কিডনি আবার নষ্ট হয়ে যায়। এর মাঝে তার অপর কিডনিও অকেজো হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় স্বামী সনাতন ভট্টাচার্য স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যান। পরে মা বাবার কাছেই থাকতে শুরু করেন সুপর্ণা। মেয়ের চিকিৎসার জন্য শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও দিনমজুরের কাজ করেন সুপর্ণার বৃদ্ধ বাবা। কিন্তু এতেও তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খান তারা।প্রত্যেক মাসে সুপর্ণাকে দু`বার ডায়ালাইসিস করতে হয়। এতে গুণতে হয় ১২ হাজার টাকা। প্রতিবেশীদের সহায়তায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন সুপর্ণা। যদিও সরকারি কিছু সাহায্য পেয়েছেন কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হার্টের অবস্থাও ভালো নয় সুপর্ণা। দু`টি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শরীর ফুলে গেছে।প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সুপর্ণা তার ছেলে পৃথ্বীশকে একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেছেন। তার অবর্তমানে সন্তানের কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। ছেলেকে মানুষ করার জন্য কারো হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এজন্য সন্তানকে দত্তক দেয়ার কথাও ভাবছেন সুপর্ণা।এসআইএস/আরআইপি
Advertisement