মা সাকাতন নেছার বয়স ১০১ বছর। মেয়ে মমতাজের বয়স ৬০। দুজনের থাকা খাওয়া এক সঙ্গে। অভাবের সংসারে কোনো মতে জীবন যাচ্ছে তাদের। অথচ এই মানুষগুলো জানেন না তাদের জন্য সরকারের বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে।সরকারের এসব সুযোগ সুবিধা না জানার কারণে এসব সহজ সরল মানুষ কোনো দিন মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে যান নি কার্ডের জন্য। তাছাড়া এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানও তাদের খোঁজ রাখেন নি।সাকাতন নেছা ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হরিনপাড়ার মৃত হোসেন আলী সরদারের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিন ছেলেও মারা গেছে তার। বেঁচে আছে শুধু মেয়ে মমতাজ। মমতাজেরও স্বামী মারা গেছেন। তার কোনো সন্তান নেই। তাই মা ও মেয়ে একই বাড়িতে থাকেন। সংসার চালানোর মতো কেউ নেই তাদের। ভিক্ষা চলছে সংসার। একই অবস্থা ওই এলাকার মৃত আতর আলীর স্ত্রী ফুলজান বেওয়ারও (৯০)। তার ছেলেরা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। তাই তারা মায়ের দেখভাল করতে পারছে না। তাই চরম কষ্টে দিনযাপন করছেন মা ফুলজান বেওয়া।এ ব্যাপারে সাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নেছাউর রহমান রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ বলে জাগো নিউজকে তার স্ত্রী জানান।পরে সাহাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। উচিত ছিল তাদের খোঁজ নেয়া। পরে কার্ড এলে অবশ্যই তিনি তাদের দেবেন বলে জাগো নিউজকে জানান।আলাউদ্দিন আহমেদ/এমএএস/আরআইপি
Advertisement