জাতীয়

বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ আতিকুল, ডিএনএ দিতে চমেকে স্ত্রী-সন্তান

আতিকুল ইসলাম। বয়স প্রায় ৪৫ বছর। আগুনে পোড়া বিএম ডিপোতে কাজ করতেন শ্রমিক হিসেবে। কম আয়ের সংসার। তাই স্ত্রী শাহানাজ কাজ করেন বাসা বাড়িতে। শনিবারের বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ আতিকুল ইসলাম। বেঁচে আছেন কি না, তাও জানে না পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সন্তানদের নিয়ে শাহানাজ এসেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডিএনএ নমুনা দিতে।

চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জেলা প্রশাসনের সহায়তা সেলের পাশে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বুথ স্থাপন করে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হচ্ছে।

সেখানেই কথা হয় শাহানাজের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ৪-৫ দিন আগে কথা হয়েছিল স্বামীর সঙ্গে। বাসা বাড়িতে কাজ করার কারণে দেশে কী ঘটেছে সে বিষয়ে তেমন খবর রাখেন না তিনি। বিএম ডিপোতে আগুন লাগার খবর পান সোমবার, আতিকুলের বোনের কাছ থেকে। মঙ্গলবার সকালে চমেকে স্থাপিত ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ বুথে এসেছেন চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে রুশ্নিকে নিয়ে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, স্বামীর বাড়ি নগরীর হালিশহরে হলেও পরিবার নিয়ে থাকতেন বাকলিয়ায়। ৩ সন্তানের অন্য দুই ছেলে ছোট।

স্বামী আতিক নিখোঁজ নাকি আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন, কোনটিই নিশ্চিত নন শাহানাজ

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে।

তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪১। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

এমএইচআর/জেআইএম